কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

 কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে কলমি শাক খেলে সাধারণত প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ কলমি শাকের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ । এতে রক্তচাপ না বাড়িয়ে রক্তর চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে কিছু খাওয়ার নিয়ম নিঞ্জা টেকনিক রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি                        

কলমি-শাক-খেলে-প্রেসার-বাড়ে-না-কমে
আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ি তুলতে পারে আরো দ্বিগুন তাই চলুন পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন কলমি শাকের কি কি উপকারিতা রয়েছে ।

সূচিপত্রঃকলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে  অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কলমি শাক খেলে এরকম কোনরকম রক্তের উচ্চচাপ বাড়ে  কিনা সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। চলুন তাহলে আজকে আমরা কলমি শাক খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় কি কি অপকারিতা হয় সে সম্পর্কে একটু জেনে নিন।

কলমি শাক খেলে কোন প্রকার প্রেসার বাড়ার সম্ভাবনা নেই বা অনেকেই মনে করেন যে কলমি শাক খেলেই হয়তো বা প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ভাবে বাড়তে পারে। তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল অন্তত প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে কলমি শাক খেলে রক্তের  চাপ কমিয়ে। প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

কলমি শাকের রয়েছে ভিটামিন এ , ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার ফলে খাবার নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজনের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্ত পরিষ্কার করে পাশাপাশি রক্তে উঠে চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই

কলমি শাক খেলে কোন প্রকার প্রেসার বাড়ার নিয়ে কোন প্রকার টেনশন নেই বরঞ্চ এটি ভিটামিনের যত চাহিদা আছে সম্পূর্ণভাবে পূরণ করে পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়ি তুলে শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে। খাবার হজমের সমস্যা থাকলে সম্পূর্ণভাবে ঠিকঠাক করে

কলমি শাক খেলে কি হয়

কলমি শাক খেলে কি হয় আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন কলমি শাক খেলে কি উপকারিতা হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই কলমি শাক খেলে কি কি উপকারিতা রয়েছে কলমি শাকের গুনাগুন সম্পর্কে একটু জেনে নিন।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ  কলমি শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার হজম শক্তি জীবন বাড়িয়ে তোলে তাই কোন ভাবে যদি কারো খাবার খেতে হজম শক্তি নেই এমন সমস্যা দেখা দিলে। খেতে পারেন কলমি শাক খেতে পারেন দ্রুত হজম শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে।

রক্তশূন্যতা পূরণ করেঃ যাদের শরীরে বিভিন্ন রকম রোগের আক্রান্ত রোগের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় মাঝেমধ্যে রক্তর জন্য হাত পা ফ্যাকাসে ভাব দেখা দেয় মাঝেমধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের ভরপুর দ্রুত পূরণ করবে রক্তশূন্যতা।

আয়রনঃ প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে ক্যালসিয়াম রয়েছে তাই গর্ভাবস্থায় যদি কোন ভাবে কলমি শাক খেতে পারেন এতে আয়রনের ঘাটতি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে। এবং সাধারণ মানুষ খেলেও এই শূন্যতা গুলো পূরণ করবে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ মাঝেমধ্যে কলমি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিভিন্ন  রোগের সমাহার দ্রুত সারিয়ে তোলে।

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

  • কলমি শাক খেলে কি হয় কলমি শাকের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে কিছুটা আলোচনা করেছি তারপরও আর আজকে আমরা পুরোপুরি জানব। কলমি শাক খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কি কি অপকারিতা হয় সে সম্পর্কে একটু ভালোভাবে জেনে নিন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মাঝেমধ্যে যাদের রোগের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ অসুস্থ থাকেন তাদের ক্ষেত্রে খেতে পারেন কলমি শাক দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ স্বাভাবিক। রাখবে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্ত পরিষ্কার করবে
  • চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়ঃ যাদের অকালে বিভিন্ন রকমের রোগের সমস্যা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এতে দ্রুত চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াবে এবং। অকালে চোখের দৃষ্টি কমে যাওয়া দূর করবে
  • রক্তশূন্যতা কমায়ঃ যাদের রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে খেতে পারেন কলমি শাক এতে রক্ত শুন্যতা কমিয়ে রক্তিমোগ্লোবিন দ্রুত তৈরি করবে।
  • ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করেঃ যাদের ভিটামিনের ঘাটতির অভাবে বিভিন্ন রকমের রোগের ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে খেতে পারেন কলমি শাক। এতে দ্রুত ভিটামিন চাহিদা পূরণ করে কলমি শাকের রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি , ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম , খনিজ জ ইত্যাদি
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কলমি শাক প্রচুর পরিমাণে আশ  যুক্ত হওয়ার ফলে দ্রুত হজম শক্তি বাড়ায় এবং শক্তিশালী করে তোলে খাবার হজমের সমস্যা দূর করে দ্রুত তার মাঝেমধ্যে খেতে পারেন। কলমি শাক এতে পেটের সমস্যা দূর করবে এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলবে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মত রোগের সমস্যা থেকে ভুগছেন মাঝেমধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক এদের দ্রুত সমাধান মিলবে।
  • অপকারিতাঃ কলমি শাকে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতাও রয়েছে তাই অতিরিক্ত না শ্রবণ করে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক। অতিরিক্ত ভিটামিন যুক্ত হওয়ার ফলেও এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক
  • গর্ভ অবস্থায় অতিরিক্ত খাওয়াঃ কলমি শাক খেতে পারেন কিন্তু গর্ব অবস্থায় অতিরিক্ত কলমি হিসেবে পেট খারাপ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক
  • পেট খারাপঃ যেহেতু আজযুক্ত হয় কলমি শাক সেহেতু অতিরিক্ত না খেয়ে মাঝেমধ্যে খেলে শরীরের জন্য ভালো পেটের জন্য ভালো অতিরিক্ত খেলে এটি ডায়রিয়া হতে পারে।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ, যেহেতু আশ যুক্ত হয় কলমি শাক দ্রুত হজম শক্তি ও ফাইবার থাকার ফলে খাবারের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত বাড়ায়। এরপরেও যদি আপনি অতিরিক্ত শোভন করতে থাকেন বা উপকারিতার বদলে এটি অপকারিতা আনতে পারে তাই অতিরিক্ত না খেয়ে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন। 

FAQ/কলমি শাক সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ  কলমি শাকে কি এলার্জি আছে?
উত্তরঃ কলমি শাকে এলার্জি সম্ভাবনা নিয়ে তবে যাদের কোন খাবার খেলে দ্রুত এনার্জি সমস্যা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি হলেও হতে পারে।

প্রশ্নঃ কলমি শাক খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ খেলে ওজন বাড়ার কোনো ভয় নেই কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আশযুক্ত হবার কারণে হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হবে না।

প্রশ্নঃ কিডনি রোগীরা কি কলমি শাক খেতে পারবে?
উত্তরঃ কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে কলমি শাক না খাওয়ায় ভালো এতে বিরত থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ কারণ কলমি শাক ঝোপ ঝাড়ে জঙ্গলে ময়লা পরিবেশে তৈরি হয়।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কলমি শাক খেলে কি হয়?
উত্তরঃ প্রতিদিন কলমি শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রক্তশূন্যতা কমায় হার্ট ভালো রাখে লিভার ভালো রাখে।

প্রশ্নঃ কলমি শাক খেলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ কলমি শাক খেলে ক্ষতি হয় না তবে অতিরিক্ত খেলে এর যেমন ভিটামিন রয়েছে এর বিপরীত প্রক্রিয়া ঘটতে পারে তাই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকো।

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয় 

  • গর্ভাবস্থার কলমি শাক খেতে পারেন এতে দ্রুত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে গর্ভের বাচ্চার পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করবে এবং গর্ভবতী মা অসুস্থ স্বাভাবিক থাকবে। তাই নিয়মিত গর্ভবতী অবস্থায় মাঝে মধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক চলুন তাহলে জেনে নিয়ে নিতে আরো কি কি উপকারিতা পেতে পারেন।
  • হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করেঃ গর্ভ অবস্থায় মেয়েদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় ওই সময় যদি কোনভাবে হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খাবারে বমি বমি ভাব আসতে পারে। তাই মাঝেমধ্যে কলমি শাক খেলে দ্রুত হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি হয়
  • রক্তশূন্যতা কমায়ঃ গর্ভাবস্থায় মেয়েদের বিভিন্ন রকমের রোগের সমস্যা দেখা দেয় এবং রক্তের বেশি ঘাটতি দেখা দেয় মাঝেমধ্যে খেতে পারেন কলমি শাক দ্রুত রক্তশূন্যতা দূর করবে এবং গর্ভের বাচ্চাকে ভালোভাবে বিকাশ তো করবে।
           আরো পড়ুন   কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
  • ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করেঃ গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন কলমি শাক দ্রুত ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ রয়েছে  কলমি শাকে।

কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে

অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কলমি শাকে কি কি ভিটামিন রয়েছে সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নিন। তাই আজকের আর্টিকেলে থাকতে বিস্তারিত ভিটামিন রয়েছে কলমি শাকে

  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন ডি
  • ভিটামিন কে
  • ক্যালসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • খনিজ
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • আয়রন
  • ফাইবার
এই সব কিছু ভিটামিন রয়েছে কলমি শাকে যে একদম সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যদি এই কলমি শাক খেয়ে থাকেন তাহলে এ ভিটামিন গুলো পাবেন বা অসুস্থ মানুষ হওয়া যদি আপনি কোন রকম ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগতে থাকেন। এই ভিটামিন যুক্ত কলমি শাক খেতে পারেন দ্রুত আপনার ভিটামিন ঘাটতে পূরণ করবে। পাশাপাশি গর্ব অবস্থায় কলমি শাক খেতে পারেন দ্রুত ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে আপনার গর্ভের বাচ্চাকে পড়বে সুস্থ স্বাভাবিক।

কলমি শাক চাষ পদ্ধতি

  • কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে কিভাবে চাষ করবেন অনেকে জানতে চেয়েছেন তাই চলুন কলমি শাক কিভাবে চাষ করবেন সে সম্পর্কে একটু ভালোভাবে জেনে নিন থাকছে আজকের আর্টিকেলে। বিস্তারিত তাই পুরো আর্টিকেলটি  মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
  • সাধারণত আমরা দেখতে পাই কলমি শাক পুকুর পাশে বা ঝোপঝাড়ে জঙ্গলে হয়ে থাকে আগাছা হিসাবে যা আমরা এমনিতেও পরিষ্কার করে এই শাক খেতে পারি। তারপরেও অনেকেই আছেন এই ্স  শাক এখন চাষ করছেন।
  • চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে জমি পরিষ্কার করে ঝরঝরে করে মাটি পরিষ্কার করে নিতে হবে দুই একবার হাল চাষ করে নিতে পারেন এরপর। যদি মনে করেন এর বীজ দিয়ে জানাবেন তবুও হবে প্যাকেট বীজকিনে নিয়ে এসে পুরো জমিতে ভালোভাবে ছিটিয়ে।
  • এরপর হালকা দুই একটা সেচ ব্যবহার করলে দ্রুত চারা জন্মাবে এবং আস্তে আস্তে চারা বড় হতে লাগবে এবং সার প্রয়োগ করে ও মাঝেমধ্যে পানি দিলে তৈরি হবে।
  • আপনি চাইলে আরও একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন একটি জায়গাতে পরিষ্কার করে কলমি শাকের বীজ ভালোভাবে  চারিয়েবড় করে নিতে পারেন। এরপর জমি তৈরি করে আলগা করে ঝুরঝুরে মাটি করে জায়গায় 5 থেকে 6 in দূরে দূরে।
  • চারটি করে গাছ লাগিয়ে পানির সেচ ব্যবহার করুন দুই থেকে তিনটি এবং মাঝে মধ্যে সার ব্যবহার করুন এতেই তৈরি হবে। কলমি শাক

কলমি শাকে কি এলার্জি আছে

কলমি সাথে কি এলার্জি আছে কিনা এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকে ভাই ও বন্ধুরা সবাই জানতে চেয়েছেন। আজকে থাকতে কলিকাকে সত্যই কি এলার্জি আছে নাকি এটি একটি গুজব সে সম্পর্কে থাকছে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত।

কলমি শাক খেলে কোন প্রকার এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় না সাধারণত আমরা জানি কলমি শাক এলার্জি মুক্ত। তো যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে যেকোনো প্রকার খাবার খেলে দ্রুত এলার্জিতে একটা করে যেমন। ঠান্ডা কিছু খাবার খেলে দ্রুত এলার্জি  হাঁচিসমস্যা দেখা দেয়।

বা দেখা যাচ্ছে যে এমন কোন শাকসবজি খেলে দ্রুত গায়ে ফুসকুড়িয়ে লালচে ভাব দেখার চোখে লালচে ভাব দেখা দেওয়া এরকম যাদের দ্রুত সমস্যা দেখা দেয়। তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি হতেও পারে কলমি শাক খেলে যদি আপনি কোনভাবে অ্যালার্জি অনুভব করেন যেমন। পেট ফুলে যাওয়া বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি

গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া ছোট ছোট লালচে ভাব দেখা দেওয়া এমন যদি কোন ভাবে আপনি অনুভব করে থাকেন তাহলে আপনি মনে করবেন কলমি শাক খেলেও আপনার অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তখন আপনি এলার্জির জন্য কলমি শাক খাওয়া থেকে দূরে থাকুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

তবে এ কথাটা অনেকাংশই সত্য যে কর্মীর সাথে কোন প্রকার এলার্জি দেখা দেয় না তবুও যাদের অ্যালার্জি সমস্যা মনে হয় তাদের ক্ষেত্রে আপনারা অ্যাভয়েড করে চলতে পারেন।  কলমি শাক যেহেতু কলমি শাক পানি বা অন্যান্য জায়গাতে খেতে হতে থাকে। অনেকের হতেও পারে এলার্জি সমস্যা তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

FAQ/কলমি শাক সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ কলমি শাকের রস খেলে কি হয়?
উত্তরঃ আপনি প্রতিদিন খেতে পারবেন কলমি শাকের রস এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন কে রয়েছে যার জন্য আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াবে এবং হাড়ো মাংস পেশীর সমস্যা দূর করবে।

প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায়  কলমি শাক খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেতে পারবেন তবে খুব বেশি না খাওয়া থেকে বিরত থাকুন মাঝেমধ্যে খেতে থাকুন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে। ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করে পরিবেশন করুন এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করে খেতে পারেন।

প্রশ্নঃ কোন সবজিতে এলার্জি বেশি হয়?
উত্তরঃ সাধারণত বেগুন কচু পুঁইশাক ঢেরস মসুর ডাল ওল কচু এইসব খাবারের বা মাছের মধ্যে বেশিরভাগ এলার্জি দেখা দেয়।

প্রশ্নঃ কলমি শাক খেলে কি রক্তচাপ কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ কলমি শাক খেলে দ্রুত রক্তচাপ কমে এতে অনেকেই মনে করেন কলমি শাক খেলে রক্তের চাপ বেড়ে উঠে চাপ বেড়ে প্রেসারের সমস্যা হতে পারে এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

প্রশ্নঃ কলমি শাকে কি আয়রন আছে?
উত্তরঃ হা কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিনের ভরপুর। 

কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম

কি কি কারণে খাওয়া যাবেনা কলমি শাক এবং কিভাবে খেতে হবে সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাই আজকের আর্টিকেলে থাকতে কলমি শাঁক খাওয়ার নিয়ম এবং সাধারণত কি সমস্যা শারীরিকভাবে থাকলে কলমি শাক খেতে পারবেন না।

কলমি শাক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন এরপর পরিষ্কার একটি পাত্রে কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেদ্ধ করে নিন কোনোভাবেই যেন কাঁচা ভাব না থাকে এবং আপনি চাইলে এটি মাছ বা এমনি ভাজি হিসেবেও রান্না করে খেতে পারে।

অনেকেই মনে করেন কি কারন থাকলে   কলমি শাক খাওয়া যায় না সাধারণত যাদের কিডনিতে সমস্যা কিডনিতে পাথর পিত্তথলিতে পাথর এরকম যদি কারো সমস্যা থাকে বা লিভারের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল আপনি। কলমি শাক এড়িয়ে চলুন কারণ কলমি শাক যেহেতু পানিতে আনাচে কানাচে ময়লা আবর্জনার মাধ্যমে তৈরি হয়।

বা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এখন জমিতে হয় সে ক্ষেত্রেও আপনি কলমি শাক থেকে দূরত্ব বজায় করে চলাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে আর আপনার যদি খুবই খেতে মন চায় তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে যেটা সাজেস্ট করা হবে সে অনুযায়ী খেতে পারবেন।

কলমি শাকের রেসিপি

আমাদের কাছে অনেক আপুরা জানতে চেয়েছেন কলমি শাক কিভাবে খাবেন। বাকি কি কি রেসিপি তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে একটু জানতে চেয়েছেন তাই চলুন আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কলমি শাক কত রকম পদে কত রকম ভাবে রান্না করা যায়।

সাধারণত আমরা বাঙালিরা কলমি শাক ভাজি করে খেতে পছন্দ করি ভালোভাবে কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে তেল ও পেঁয়াজ মরিচের সাথে ও রসুন দিয়ে ভালোভাবে একটু ভাজি তৈরি করে খেতে সবাই বেশি পছন্দ করে।

আপনি চাইলে এটিকে রান্না করতে পারে সরিষা ব্যবহার করে যেমন এক থেকে দুই চা চামচ সরিষা ভালোভাবে পরিষ্কার করে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন এরপর কয়েকটা কাঁচামরিচ পেয়াজ ও পাঁচফোড়ন দিয়ে। নেড়েচেড়ে কলমি শাক টুকরো করে কেটে ওর সাথে মিশে হালকা জল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারে একটি রেসিপি। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমন করে ভিটামিনের ভরপুর

ছোট মাছ ছোট মাছ দিয়ে রান্না করতে পারেন কলমি শাক সাধারণত বাইন মাছ বা ছোট ছোট মাছগুলো দিয়ে ও কলমি শাক ভালোভাবে ছোট করে কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে হলুদ মরিচ লবন ধনিয়া জিরা। ও কাঁচা মরিচের ঝাল দিয়ে তৈরি করতে পারেন ছোট মাছ দিয়ে একটি কলমি শাকের চচ্চড়ি। যা খেতে হবে অসাধারণ এবং ভিটামিনের দুটোই ভরপুর যেমন শাড়ি রয়েছে ভিটামিন ঠিক তেমনি ছোট মাছের রয়েছ ভিটামিন।

শেষ কথাঃকলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে উপরোক্ত আলো চনা থেকে আমরা আজকের আর্টিকেলে বলতে পারি কলমি শাক খেলে কোন প্রকার প্রেসার বাড়ার ভয় নেই। এবং কি খেলে কতটুকু উপকার হবে সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং  কলমি শাক কিভাবে খাবেন।

পাশাপাশি কিভাবে খাবেন এবং কোন অসুখ থাকলে কোনভাবে  কলমিশাক খাওয়া যাবে না সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনি পড়ে উপকৃত হয়েছেন এবং পাশাপাশি আপনি। অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনার ভাই ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

আজকের আর্টিকেলটি নিত্যনতুন স্বাস্থ্য টিপস বিউটি টিপস লাইফ স্টাইল সম্পন্ন আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা পেয়ে যাবেন তাই আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন নতুন নতুন পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আবারো কোন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ এবং আপনাদের যদি কোন ভাবে আমাদের আর্টিকেলের জন্য কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার ধন্যবাদ সবাইকে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url