পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি হয় - পুঁই শাকের৬ক্ষতিকারক দিক

পুঁইশাক খেলে কি অ্যালার্জি হয় আজকের আর্টিকেলে থাকছে পুঁইশাক খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় কিনা হা পুঁইশাকের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তবে প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য নয়।                              

পুঁইশাক-খেলে-কি-এলার্জি-হয়

 যাদের শরীরে এলার্জির প্রবণতা বেশি এবং যেকোনো খাবার খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। তাদের ক্ষেত্রে পুইসার একটি মারাত্মক সমস্যা কারণ এমনিতে পুঁইশাকে এলার্জি সমস্যা রয়েছে। তবে চলুন মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন সম্পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর।

সূচিপত্রঃ পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি হয়

পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি  হয়

পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি  হয় এলার্জির সমস্যা প্রত্যেকটি মানুষের হয় না তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ১০০% মানুষের মধ্যে এখনকার সময়ে ৮০% মানুষের এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তবে পুঁইশাক খেলে যে এলার্জি সমস্যা দেখা দিবে এমনটা নয় যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে মাঝেমধ্যে যে কোন জিনিসে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। । তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় পুঁইশাক খেলেই এলার্জি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  পুইশাকে ৭০% এলার্জি সমস্যা রয়েছে তবে এটি ভিটামিন  ,ক্যালসিয়াম , ও আয়রন  ,প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

পুই শাক খেলে যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন আপনার পুঁইশাককে এলার্জির সমস্যা রয়েছে যেমন পুঁইশাক খাওয়ার পরে গোটা চোখ লাল হয়ে যাওয়া। ওটা শরীর ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া গোটা গোটা হয়ে যাওয়া এবং মুখমন্ডল ফুলে যাওয়া এরকম কোন লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বুঝে নেবেন আপনার পুঁইশাকে এলার্জি সমস্যা রয়েছে।
        
আর ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী যে খাবারের এলার্জি সমস্যা থাকে সেই খাবারগুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শ্রবন করার পরে খেতে পারবেন।  কারণ এলার্জির সমস্যা একটি মারাত্মক রোগ এটি যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ না করেন বা অ্যালার্জির জনিত খাবার খেতে থাকেন। তাহলে এটি কোন এক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করে ক্ষতি হতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন এলার্জি যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে।

পুঁই শাকের ৬টি ক্ষতিকারক দিক

  • পুঁইশাকের ৬টি ক্ষতিকারক দিক আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন পুঁইশাক খেলে কোন প্রকার এলার্জির সমস্যা দেখা দিবে কিনা। আমরা আগেই তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি যে যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে। তারা পুঁইশাক হওয়া থেকে এভয়েড করবেন কারণ পুঁইশাকে এলার্জি সমস্যা রয়েছে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই চলুন পুঁইশাক খেলে যে ৬টি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • যৌন সমস্যাঃ যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ পুইশাকে ফলিক এসিড রয়েছে যা আপনার জনশক্তিতে কমে দিতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন খুব কম পরিমাণ বা সীমিত খেতে। এবং যাদের পুরোপুরি যৌন সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই পুঁইশাক এভোয়েড করতে।
  • , কিডনির সমস্যাঃ যাদের শরীরে কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুঁইশাক খাওয়া  থেকে বিরত থাকতে কারণ কিডনিতে সমস্যা থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আমরা জানি ফলিক অ্যাসিড এবং এটি যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • পিত্তি জনিত সমস্যাঃ যাদের শরীরের পিত্তির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে অতিরিক্ত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে পিত্তর থলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এজমা জনিত সমস্যাঃ যাদের শরীরে অ্যাজমা জনিত সমস্যা রয়েছে শ্বাসকষ্ট হয় তারা অবশ্যই পুঁইশাক থেকে দূরে থাকুন কারণ। পুঁইশাক খাওয়ার ফলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে কারণ পুঁইশাক যেহেতু একটু ঠান্ডা খাবার এতে আরো বেশি ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • এলার্জিজনিত সমস্যাঃ যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে হাত-পা চুলকানো বা শরীরে গোটা গোটা ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া এরকম কোন সমস্যা থাকলে। অবশ্যই পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তা না হলে আরও বেশি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পুঁইশাক খেলে গর্ভের বাচ্চার নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্ট সমস্যা হতে পারে তাই চেষ্টা করবেন গর্ভবতী অবস্থায়। খুব বেশি পরিমাণ না খাওয়াটাই ভালো তবে অবশ্যই ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করে সেক্ষেত্রের দিক দিয়ে আপনি সীমিত পরিমান খেতে পারেন।

পুই শাক খাওয়ার উপকারিতা

পুঁই শাক খেলে কি অ্যালার্জি হয় পুইশাক প্রচুর পরিমানে ভিটামিন , ও আয়রন  ,ক্যালসিয়াম , সোডিয়াম , ফলিক এসিড , ভিটামিন এ , ভিটামিন বি , পুঁইশাক খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের সমস্যা তাড়াতাড়ি পূরণ করে। যাদের বাত ব্যথা ক্যালসিয়ামের সমস্যা দেখা দেয় তাড়াতাড়ি পরামর্শ অনুযায়ী। পুঁইশাক খেতে বলা হয় 

  • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ যাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে নিয়মিত পুঁইশাক পুঁই শাক খেতে পারেন। এতে এতে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে।
  • বাত ব্যথাঃ বাত ব্যথা যাদের শরীরে অতিরিক্ত বাত ব্যথা বা ক্যালসিয়ামের সমস্যা রয়েছে মাঝেমধ্যে নিয়ম করে পুঁই শাক খেলে ক্যালসিয়ামের সমস্যা দূর করবে এবং বাথব্যথা সমস্যা দূর করবে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ নিয়ম মত মাঝেমধ্যে পুঁইশাক খাওয়ার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কারণ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আইরন ও ভিটামিন এ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে মাংসপেশি শক্ত করে।
  • হজম শক্তিঃ যাদের পেটে পাকস্থলী সমস্যা রয়েছে এবং খাবার হজমের সমস্যা হয় তাদের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে পুঁইশাক খেলে খাবার হজম এর সমস্যা দূর হয় এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

পুঁই শাক খাওয়ার অপকারিতা

  • পুঁইশাক খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন যে পুঁইশাক খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিয়ে পুঁইশাক খেলে যেমন উপকার হয় ঠিক তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে তাহলে সে অপকারিতা গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • পুরনো বাত ব্যথার সমস্যাঃ যাদের শরীরে পুরনো বাত ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে কারণ। একদিকে যেমন ক্যালসিয়ামের সমস্যা দূর করে ঠিক বাত ব্যথা একটি রোগ যা পুঁইশাক খেলে এটি বাড়তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • কিডনির সমস্যাঃ যাদের শরীরে কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পুঁই শাক খেতে। কারণ কিডনির সমস্যা পুঁইশাক খেলে বেড়ে যায়
  • যৌন সমস্যাঃ যাদের আগে থেকে যৌন সমস্যা রয়েছে এবং বিবাহিত জীবনে অসুখী তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুই শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে কারণ পুইশাকে ক্ষতিকারক ফলিক এসিড থাকার কারণে জনশক্তি কমিয়ে দেয়।
  • হাঁপানির সমস্যাঃ যাদের হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ। পুঁইশাক খেলে হাঁপানির সমস্যা দ্রুত বেড়ে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
  • এলার্জির সমস্যাঃ যেকোনো প্রকার এলার্জির সমস্যা যদি আপনার শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই পরামর্শ ছাড়া। পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ শ্রবণ করুন।

পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি সমস্যা হতে পারে

অনেকেই জানতে চেয়েছেন পুই শাক খেলে কোন প্রকার এলার্জির সমস্যা হবে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আমরা আগেই তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি যে। এলার্জির সমস্যা সবার ক্ষেত্রে প্রয়োজন নয় বা সবার ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা দেখা দিবে এমনটাও নয়। তাই পুঁইশাক খাওয়া নিয়ে ভয় পাবার কোন কিছু নেই। পুঁইশাক এলার্জিজনিত খাবারের তালিকার মধ্যে পড়ে এটা সর্বপ্রথমে ঠিক তার পরেও।

বলা যেতে পারে যে পুঁইশাক খেলেই সবারই অ্যালার্জি হবে এমনটা নয় যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে আগে থেকেই বা কোন প্রকার খাবার খেলে দ্রুত এলার্জি এটাক করে এমন সমস্যা যাদের রয়েছে শুধু তাদের ক্ষেত্রে বলতে পারা যায় যে এলার্জি হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যাদের খাবার পর কোন ভাবে আপনি চুলকানি অনুভব করছেন। শরীরে গোটা গোটা ও লালচে ভাব হয়ে যাওয়া মুখমন্ডল ভুলে যাওয়া এমন কোন কিছু যদি আপনি অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই বুঝে নেবন।

পুইশাকে আপনার এলার্জি সমস্যা রয়েছে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ শোভন করতে পারেন অবশ্যই জেনে নেবেন খাওয়া যাবে কিনা। কারণ এলার্জি একটি মারাত্মক রোগ যা শরীরে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে। তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন এলার্জি জনিত খাবার একটু সচেতনার সাথে খেতে। 

গর্ব অবস্থায় পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা

  • গর্ভাবস্থায় পুঁই শাক খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় চলুন তাহলে জেনে নেই আজকের আর্টিকেলে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিয়েন গর্ভ অবস্থায় পুঁইশাক খেলে কি কি উপকারিতা পেতে পারেন।
  • ক্যালসিয়ামের সমস্যাঃ গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মেয়েদের নানা রকম ক্যালসিয়ামের সমস্যা দেখা দেয় তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পুঁইশাক বা ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার সাজেস্ট করে তাই গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক খেলে ক্যালসিয়ামের সমস্যা দূর হবে।
  • আয়রনের সমস্যাঃ গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের যদি কোন প্রকার আয়রনের সমস্যা থাকে তাহলে বাচ্চা ও মায়ের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসা সম্ভব নয় এতে অসুস্থ হতে পারে গর্ভের বাচ্চা তাই। অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সাজেস্ট করা হয় আয়রন জাতীয় খাবার খেতে আর পুঁইশাকের প্রচুর পরিমাণে আইরন।
  • প্রচুর পরিমাণে ঘুম হয়ঃ গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন হয় সেটা হলো ঘুম আর পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন থাকার ফলে গর্ভ অবস্থায় পুঁইশাক খেলে প্রচুর পরিমাণে ঘুম হয়। যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের সবচাইতে বেশি সমস্যা হয় অতিরিক্ত রোগ দেখা দেয় আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খুব কম থাকে এবং সেই সময় পুষ্টি ঘাটতি দেখা দেয় পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন থাকার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যার ফলে এটি অত্যন্ত কার্যকরী গর্ভবতী মায়েদের জন্য।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ অতিরিক্ত হজম শক্তি বৃদ্ধি করে পুঁইশাক আর গর্ভ অবস্থায় খাবার খেয়ে যদি কোন প্রকার হজমের সমস্যা হয় তাহলে গর্ভের বাচ্চার ও সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে বলা হয় যাতে কোন প্রকার পেটে সমস্যা না হয়। বা খাবার হজমের কোন প্রকার সমস্যা না হয়
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ গর্ভাবস্থায় যদি কোন প্রকার মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে তাহলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় যদি প্রচুর পরিমাণে পুঁইশাক খাওয়া যায় তাহলে গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে।

পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয়

 পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি হয় পুইশা খেলে কি গ্যাসের সমস্যা হয় এ কথাটি আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন যে পুঁইশাক ছেলে কোন প্রকার এলার্জি সমস্যা দেখা দিবে কিনা পাশাপাশি কোনরকম গ্যাসের সমস্যা হবে কি না। কোন প্রকার গ্যাসের সমস্যা হবে না যদি আপনি নিয়ম মত বা নিয়ম অনুযায়ী ফলো করে খেতে পারেন তাহলে কোন প্রকার গ্যাস্ট্রিক প্রবলেম হবে না।

পুঁইশাক একটি তরল জাতক খাবারের মধ্যে পরে বাকিয়ালসিয়াম জাতীয় খাবারের মধ্যে পড়ে। তাই এটি খাবারের মধ্যে কোন প্রকার গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম নেই। যদি আপনার খাবার হজমের কোন প্রকারের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই বা যে কোন প্রকার খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হতে পারে।

সর্বপ্রথম যেটা আপনার খাবারের হজমের কোন প্রকার সমস্যা আছে কিনা সেটা জানতে হবে যদি আপনার খাবার হজমের কোন প্রকার পাকস্থলীতে সমস্যা থাকে। তাহলে বুঝে নেবেন আপনার যে কোন খাবারের গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হতে পারে। তারপরেও আরো একটা জিনিস বোঝার রয়েছে যদি আপনি খাবার পর কোন প্রকার গ্যাস্টিক অনুভব করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সে খাবারটিতে বুঝে নেবেন আপনার এই খাবার গ্যাস্ট্রিক খেলেই হবে।

পুঁই শাক খাওয়ার সতর্কতা

  • প্রত্যেকটি খাবারের ভালোমন্দ দিক রয়েছে অবশ্যই পুই শাকের যেমন উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে তবে প্রত্যেকটি খাবারই সতর্কতা। সংক্ষিপ্ত জেনেই সে খাবার গুলো খাওয়া উচিত কোন খাবার গুলো কোন প্রকার খারাপ ইফেক্ট আছে কিনা সে সম্পর্কে জেনে খাওয়া উচিত । চলুন তাহলে জেনে নিই পুঁইশাক খাওয়ার সতর্কতা।
  • গর্ববতী মাঃ অবশ্যই চেষ্টা করবেন। খুব কম পরিমাণ পুই শাক খেতে যেমন ভিটামিন ও আয়রন ক্যালসিয়াম রয়েছে সেটা যেমন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি। আপনার শরীরে ক্ষতিও করতে পারে যেমন গর্ভের বাচ্চা নিউমোনিয়ার সমস্যা হতে পারে।
  • যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে অবশ্যই কিডনির সমস্যা জড়িত মানুষ চেষ্টা করবেন খুব কম পরিমাণ বা না খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে কিডনির সমস্যা তৈরি করে।
  • প্রচুর পরিমাণ পুঁই শাক খেলে পেটের হজম হয়ে পেট খারাপ হতে পারে বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত খেলে ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • সর্দি কাশি অতিরিক্ত পুঁইশাক খাবার ফলে হতে পারে বা নিউমোনিয়ার সমস্যা হতে পারে। 

FAQ/প্রশ্ন পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি হয় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ পুঁই শাক খেলে কি ওজন বাড়ে ?
উত্তরঃ আপনার শরীরে যদি কোন প্রকার জনিত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ওজন বৃদ্ধি হবে তা না হলে কোন প্রকার ওজন বৃদ্ধি হয় না এবং ওজন স্থিতিশীল থাকে।

প্রশ্নঃপুঁইশাক কি অ্যালার্জি আছে?
উত্তরঃ  পুঁইশাক খেলে শরীরে লাল লাল হয়ে যাওয়া শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া এমন এলার্জি হতে পারে।

প্রশ্নঃ পুই শাক খেলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ পুঁইশাক খেলে কিডনির সমস্যা , পিত্ত জনিত সমস্যা , জন সমস্যা।

প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কি পুঁইশাক খাওয়া যাবে?
ঃ উত্তর গর্ভাবস্থায় পুঁইশা খাওয়া যাবে তবে খুব বেশি পরিমাণে নয় এটি সীমিত পরিমান খেলে খুবই ভাল।

শেষ কথাঃ পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি  হয়

পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি হয় যাদের শরীরে কোন প্রকার এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুঁইশা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে। আমরা আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি যে কোন কোন কারণে পুই শাক খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে বা তাদের হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

পুই শাক খেলে যে এলার্জি সমস্যা হবে এমনটা নয় যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের পরিষদ খেলে এলার্জি হতে পারে। এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয় আজকের আর্টিকেলে পুঁইশাক খেলে কি কি উপকারিতা পেতে পারেন বা কি কি অপকারিতা হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি।

আশা করি আপনারা আজকের আজকের কি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন এবং অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন পাশাপাশি যদি কোন প্রকার আর্টিকেলের মাধ্যমে ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। নতুন নতুন স্বাস্থ্য টিপ্স প ও বিউটি টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ফরিদা আইটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।
 
আবারো কোন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন আপনাদের একটি। উপকারিতা আমাদের লেখা প্রতি আরো আগ্রহী করবে তাই চেষ্টা করবেন আপনারা আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে তাহলে আমরাও লেখার প্রতি আগ্রহী হব ধন্যবাদ আবারো নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে দেখা হবে আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url