কলমি শাকে কি এলার্জি আছে - কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে? আজকে আলোচনা করবো কলমি শাকে কতটা এলার্জি আছে এবং কতটা ক্ষতিকারক সে সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে। আজকের আর্টিকেলে আপনি যদি সম্পর্কে বিস্তারিত
![]() |
জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। চলুন তাহলে জেনে নিন কলমি শাকে কি কি এলার্জি আছে এবং সত্যি এর মধ্যে কোন ক্ষতিকারক । এলার্জি রয়েছে কিনা এবং কলমি শাক খেলে শারীরিকভাবে প্রেসার কমে না বাড়ে সে বিষয়টা আজকে জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
- কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
- কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে
- কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
- কোন কোন শাকে এলার্জি আছে
- কলমি শাক খেলে কি হয়
- কলমের শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
- কলমি শাকের ক্ষতিকারক দিক
- গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
- FAQ/প্রশ্ন কলমি শাক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে কলমি শাক বিশেষ করে অনেকে মনে করেন যে এলার্জি রয়েছে
এবং কলমি শাক খেলে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে এ সম্পর্কে অনেকেই ধারণা করেন। কিন্তু
ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী এটি পরীক্ষিত যে কলমি শাকে কোন প্রকার এলার্জি
নেই। তবে হ্যাঁ এ বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে খাবারগুলো খেলে কোনভাবে গলা
চুলকানো বা শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা কোন কিছু বের হওয়া বা শরীরে লাল হয়ে
যাওয়া। এরকম কোন প্রভাব শরীরের উপর দেখলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ
নিতে হবে।
এবং সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে যদি সেটি অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই সে
খাবারটা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে
হবে। কলমি শাক বেশিরভাগ পানিতে বা খোলা জায়গায় এটি হয়ে থাকে এমন কোন এখন
পর্যন্ত কোন কিছু জানতে পারা যায়নি যে কর্মী শাক খেলে কোন ক্ষতি হতে পারে বা
অ্যালার্জি সমস্যা হতে পারে। তবে হ্যাঁ অবশ্যই যদি আপনি খেয়ে কোন প্রকার
এলার্জির সমস্যা বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই কলমি শাক এড়িয়ে চলুন।
কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , ভিটামিন সি , আয়রন
, ক্যালসিয়াম, ইউরিন , ও ক্যারোটি্ন , যে এই শাক খেলে আপনার শরীরে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিনের ঘাটতি ও ক্যালসিয়ামের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করবে। বিশেষ
করে এই শাক খুব কম পরিমাণে মানুষকে খেতে দেখা যায় কারণ অনেকের মনে পড়েন এই
শাকে ছাড়া কোন প্রকার ভিটামিন বা আইরন নেই যা খেলে উপকার হতে পারে এরকম
অনেকেই মনে করেন।
এটি ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষিত এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , এবং
ভিটামিন সি , ক্যালসিয়াম ,আয়রন ,ফসফরাস ,ও ক্যারোটিন , রয়েছে যা
আপনার শরীরে রক্তের শর্করা কমিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে শরীরে ওজন
নিয়ন্ত্রণ রাখবে। এবং পাশাপাশি ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের যে অভাব আপনার শরীরের
থাকবে সেটি পূরণ করবে।
কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে
কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে? অনেকের মনে করেন কলমি
শাকে কোন প্রকার ভিটামিন নেই এটা অনেকেই মনে করে কারণ শাকের তেমন কোন কদর
নেই। অনেকেই আছে এই শাক খেতে পছন্দ করে না কারণ মনে করেন এতে কোন প্রকার
ভিটামিন নেই। খেলে তেমন কোন উপকারে আসবে না তবে এটা যারা ভাবেন তারা অবশ্যই
সম্পূর্ণভাবে ভুল ধারণা। কারণ কলমি শাকে রয়েছে যে পরিমাণ
ভিটামিন ও ক্যারোটিনের ও ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ যা আপনার শরীরের
ভিটামিনের ঘাটতি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এবং আয়রনের যা ঘাটতি আছে সম্পূর্ণভাবে পূরণ
করবে চলুন তাহলে জেনে নিই কি কি ভিটামিন রয়েছে এ শাকের মধ্যে যা খেলে আমাদের
শরীরে উপকারে আসবে।
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন সি
- আয়রন
- পটাশিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- কেরোটিন
- ফলেট
- আশ
এই ভিটামিন গুলো সম্পূর্ণ পাবেন যদি আপনি গ্রহণ করেন কারণ কলমি শাকে এই
ভিটামিন গুলো যুক্ত রয়েছে। আর যদি পাশাপাশি গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মা কলমি শাক
মাঝেমধ্যে একদিন দুই দিন পর খেতে পারে তাহলে এই সম্পূর্ণ ভিটামিন।
ভাবে গর্ভবতী মা এবং গর্ভের বাচ্চা। এবং সুস্থ স্বাভাবিক মানুষও খেতে পারেন
প্রচুর পরিমাণে কলমি শাক এটি আপনার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
হার ও মাংস পেশী শক্ত করবে পেটের সমস্যা দূর করবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে
সেটিও দূর করবে।
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে কলমি শাকের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই
জানিনা চলুন তাহলে জেনে কলমি শাক খেলে কি কি উপকারিতা পেতে পারেন এবং। পাশাপাশি
এর অপকারিতা গুলো কি কি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ কলমি শাক খেলে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি হয় কারণ কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং
ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ও আশ আশের পরিমাণ কম থাকার
কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীর ওজন ঠিকঠাক রাখে।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিঃ যাদের অকালে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চোখে ঝাপসা দেখা
কম দেখা এর জন্য প্রচুর পরিমাণে কলমি শাক খেতে পারেন কারণ কলমি শাকে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা শরীরে ওজন ঠিকঠাক রাখতে এবং পাশাপাশি চোখের জ্যোতি
বৃদ্ধি করবে। কারণ ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের জ্যোতি সমস্যা হয়ে থাকে আর কলমি
শাকের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত মাঝেমধ্যে
এক থেকে দুই দিন পর পর সবজি পাশাপাশি কলমি শাক খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে
আয়রন থাকার ফলে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে থাকে।
প্রেসারে সমস্যাঃ কলমি শাক খেলে এটি পেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে এটি রক্তের উচ্চচাপ
কমায় এবং রক্তকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কারণে এটি কোনভাবেই প্রেসার বাড়ে না তবে
অতিরিক্ত যাদের উচ্চচাপ রয়েছে রক্তের সেটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করে চললে কোন
প্রকার ক্ষতি করবে না কলমি শাক ।
কলমি শাকের অপকারিতা দিকগুলো জেনে নিনঃ
- প্রত্যেকটি খাবারে যেমন ভালো বিক্রি হয়েছে ঠিক তেমনটি খারাপ থেকে রয়েছে খাবার খেলে শুধু উপকার করে না এর অপকারিতা ও রয়েছে চলুন তাহলে সেই অপকারিতা গুলো কি কি জেনে নেই।
- কিডনিতে পাথর জমানোঃ অতিরিক্ত হাড়ে কলমি শাক খেলে কিডনিতে পাথর জমাতে সাহায্য করে ।
- উচ্চ রক্তচাপঃ যাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এবং অতিরিক্ত হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই কলমি শাককে অ্যাভয়েড করে চলুন। কারণ নিয়ন্ত্রণ থাকেনা প্রেসারের
- ডায়রিয়াসমস্যাঃ যাদের অতিরিক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে ডায়রিয়া সমস্যা হতে পারে।
- রক্তের নিয়ন্ত্রণঃ অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে এটি রক্তের শর্করা পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে এবং খারাপ কোলেস্টেরল যুক্ত করে রক্ত সঞ্চালন তৈরি করা থেকে বন্ধ করে এবং রক্তে জমাট বাধা সৃষ্টি করে।
- সব কিছু খাবারে যেমন উপকারিতা রয়েছে এর অপকারিতা রয়েছে সবকিছু খাবার আগে অবশ্যই জেনে বুঝে খাবেন কোন খাবারটা খেলে উপকার পাবেন এবং কোন খাবারটা খেলে অপকারিতা পেতে পারেন। তবে কোন কিছু খাবার পরিমান মতই খাবার খাওয়া উচিত যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হতে পারে।
কোন কোন শাকে এলার্জি আছে
কলমি শাকে এলার্জি আছে কিনা এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন এবং
পাশাপাশি। আরো জানতে চেয়েছেন কোন কোন শাকে এলার্জি রয়েছে এবং কোন
সবজির মধ্যে অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে। সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন চলুন তাহলে
জেনে নেই কোন কোন শাকে এলার্জি রয়েছে এবং কি কি অ্যালার্জি সমস্যা হতে পারে।
কচু শাকঃ কচু শাক এই শাকে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে ঠিক তেমনি
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এই শাক খেলে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে।
হওয়া মাত্রই নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন গলা চুলকানো , গায়ে ছোট ছোট
ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া , শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি
লাল শাকঃ লাল শাক রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ কিন্তু অনেকেই আছেন লাল
শাক খেতে পারেন না। লাল শাক খাওয়ার সাথে সাথে শরীরে লালচে ভাব দেখা দেয় চোখের
আশেপাশের লালচে ভাব দেখা দেয়। তাদের এলার্জি রয়েছে লাল শাক এ কিন্তু
এটি এলার্জির সমস্যা খুব বেশি পরিমাণ নেই।
পালং শাকঃ পালং শাকই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি কারণ এটি ঠান্ডা জাতীয় খাবার
এটি খেলে অনেকেই শ্বাসকষ্ট অ্যাজমা জনিত সমস্যা বা সর্দির সমস্যা দেখা দেয়।
পুঁইশাকঃ পুই শাকের অনেক পরিমাণে এলার্জি রয়েছে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে
পুঁইশাক খেলেই শরীর চুলকানো ও শরীরে গোটা গোটা ফুলে যাওয়া ও চোখের আশপাশে ফুলে
যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়।
সবজি মধ্যে এলার্জি সমস্যা যেমনঃ বেগুন , মিষ্টি কুমড়া, কচু, ওলকপি
, ফুলকপি, এই সব কিছুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি এবং এই খাবারগুলো
খেলে শরীরে গোটা গোটা ফুসকুড়ি ও ফুলে যাওয়া লালচে ভাব হওয়া গলা চুলকানো বা
শরীরের যে কোন স্থানে। চুলকানো সমস্যা দেখা দিলে বুঝবেন আপনার অ্যালার্জি সমস্যা
রয়েছে তৎখানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন এবং এই খাবারগুলো থেকে
একটু দূরত্ব বজায় করে চলুন।
কলমি শাক খেলে কি হয়
- কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যারোটিন যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি শাক যা আপনার শরীর কে করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কারী এবং। ভেতর থেকে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখবে রক্ত সঞ্চালন তৈরি করবে। পাশাপাশি আপনার প্রেসারে সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক করবে সম্পূর্ণভাবে চলুন আমার বিস্তারিত জেনে নেই কি কি উপকারিতা পেতে পারেন কলমি শাক খেলে।
- হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখেঃ মাঝেমধ্যে কলমি শাক খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন তৈরি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে রক্তের শর্করা মাত্রা ঠিকঠাক থাকে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
- লিভারের সমস্যা দূর করেঃ যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে পাকস্থলীতে খাবারের হজমের সমস্যা দেখা দেয় তারা কলমি শাক খেতে পারেন এতে লিভারের সমস্যা অনেকাংশ দূর করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ অনেকের মানুষ আছেন যারা কোন কিছু খাবার খেলে হজম করতে পারে না এবং পাকস্থলী দুর্বল কোন কিছু খেলে হজম শক্তি কম থাকে। মাঝেমধ্যে কলমি শাক খেতে পারেন এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে অনেক দিন যাবত ভালো হচ্ছে না কোন ভাবে মাঝেমধ্যে শাক সবজির সাথে সাথে কলমি শাক খেতে পারেন কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
- হার্ট ভালো রাখেঃ যাদের হাট এর সমস্যা রয়েছে মাঝেমধ্যে কলমি শাক খেতে পারেন এতে হার্ট সুস্থ রাখে।
- ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ মাঝেমধ্যে শাকসবজি বা ভিটামিনযুক্ত খাবার খেলে ক্যান্সারে ঝুকি কমায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো কলমি শাক এটি খেলে মাঝে মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কলমির শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
- অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কলমি শাক খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে নাকি বাড়তে থাকে না কমতে থাকে আসলে কোন কিছুই খাবারের মধ্যে প্রেসার কম বেশি হতে পারে এটা যেমন স্বাভাবিক। ঠিক তেমনি কোন কিছু খাবারের মাধ্যমে যে প্রেসার উঠানামা করবে ঠিক এটাও অতটাও ঠিক নয়। কারণ যাদের উচ্চচাপ রক্তের রয়েছে তাদের জন্য কোন কিছু খাবার খেলে রক্তের উচ্চচাপ দেখা দেয় তবে বেশি করে কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে রক্তের উচ্চচাপ দেখা দেয় এবং প্রেসারে সমস্যা দেখা দেয়।
- তবে আমরা জেনেছি অনেক অংশে কলমি শাক খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ কলমি শাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এর জন্য প্রেসার ঠিকঠাক রাখে। তবে যারা মনে করেন যে কলমি শাক খেলেই রক্তের উচ্চচাপ বাড়ে তাদের জন্য আমরা বলতে পারি এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। তবে অবশ্যই কোন কিছু খেতে হলে তার নিয়মমাফিক করে খেতে হবে অতিরিক্ত হারে কোন কিছুই ভালো নয়।
- এবং যাদের শরীরে অতিরিক্ত রক্তের উঠে চাপ রয়েছে তারা অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত হারে নয়। এতে রক্তের উচ্চচাপ তৈরি করে রক্তের জমাট বাধার সৃষ্টি করতে পারে এবং প্রেসার হাই করে দিতে পারে। তবে যাদের হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী শাকসবজি অবশ্যই বেশি করে খেতে হবে এতে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে অতিরিক্ত মাছ মাংস ও ক্যালোরিযুক্ত উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে রক্তের উচ্চচাপ বাড়তে পারেতাই সবসময় চেষ্টা করবেন শাকসবজি খেতে এবং পাশাপাশি মাছ মাংস খেতে পারেন কিন্তু অনেকাংশেই কম।
কলমি শাকের ক্ষতিকারক দিক
- অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কলমি শাকের কোন ক্ষতিকারক দিক আছে কিনা কোন কিছু খেতে হলে অবশ্যই তার সাইড ইফেক্ট তার ভালো। দিক জেনে বুঝে খাওয়া উচিত কারণ অবশ্যই প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন ভাল দিকে রয়েছে ঠিক এর উল্টো দিকটাও খারাপ থাকতে পারে চলুন তাহলে জেনে নেই। কলমি শাকের খারাপ ও ক্ষতিকারক দিকগুলো কি কি। এখানে অনেকেই আমাদের কে প্রশ্ন করতে পারেন যে কলমি শাক আমরা উপকারিতা সম্পর্কে লিখেছি কিন্তু এখানে ক্ষতিকারক দিকগুলো কেন লিখছি।
- অবশ্যই এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে। কলমি শাক যেমন আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করছি এটি ভালো খেতে পছন্দ করবেন এবং এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী ঠিক তেমনি। এর ক্ষতিকারক দিকগুলো আপনাদের জানা দরকার সবকিছু জানার পরে আপনারা সাজেস্ট করবেন কোনটা আপনাদের শরীরের জন্য ঠিক এবং কোনটা আপনাদের শরীরের জন্য ঠিক নয় ।
- কিডনিতে পাথর জন্ম দেয়ঃ অতিরিক্ত হারে কলমি শাক খেলে কিডনিতে পাথর হতে সক্ষম করে তাই যতটা পারবেন একটি অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- রক্তে জমাট বাধা তৈরি করেঃ যাদের উচ্চচাপ রক্তে রয়েছে তাদের জন্য কলমি শাককে একটু এভোয়েড করে চলুন কারণ কর্মীর সাথে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন থাকার কারণে এটি। রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং রক্তের জমাট বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
- ডায়রিয়া সমস্যাঃ যারা শাকসবজি খেতে প্রচুর পরিমাণে পছন্দ করেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয় অতিরিক্ত শাক খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- রাসায়নিক কিটঃ কলমি শাক বেশিরভাগ পুকুর পারে বা রাস্তার ধারে জমিতে ধুলোবালি বা ময়লা জায়গাতে হয়ে থাকে এর জন্য এর রাসায়নিক কীট শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তাই অবশ্যই। খাবার পূর্বে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বা পরিষ্কার পানি দিয়ে ক্লিন করে খেতে পারেন এবং তাও অল্প পরিমাণে।
- উচ্চ ফাইবার যুক্তঃ উচ্চ ফাইবার যুক্ত শরীরের জন্য ঠিকঠাক নয় কারণ ফাইবার যুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এটা যেমন ঠিক পাশাপাশি উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে ক্ষতিকারক হতে পারে।
- প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকেনাঃ অতিরিক্ত হারে কর্মী শাক খেলে এটি প্রেষণ নিয়ন্ত্রণ থাকেনা কারণ অনেকের উচ্চ রক্তচাপ মাত্রা থাকার কারণে প্রেসারের নিয়ন্ত্রণ হারায়।
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সমস্যা তৈরি করেঃ অতিরিক্ত ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে কিছু কিছু শাক খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তাই ডায়াবেটিস রোগী ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী কোন শাক খেলে সুস্থ থাকেন না খেলে অসুস্থ হবেন সেটা অবশ্যই জেনে বুঝে খাবে। ডায়াবেটিস রোগী অবশ্যই কলমি শাক এবাউট করে চলুন।
- কলমি শাক খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই এক দিকগুলো খেয়াল রাখবেন এবং। অবশ্যই চেষ্টা করবেন অধিক হারে না খেয়ে মাঝেমধ্যে কলমি শাক খেতে পারেন কিন্তু অধিকারে খেলে এই লক্ষণগুলো শরীরের দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সব সময় পুষ্টিকর ও
আয়োডিনযুক্ত ভালো খাবার খেতে বলা হয় এতে গর্ভবতী মা সুস্থ থাকে এবং গর্ভের
বাচ্চার সুস্থ থাকে। পাশাপাশি শাকসবজির কথা তো বারবার বলা হয় কারণ
শাকসবজিতে যে পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে তা প্রোটিন জাতীয় খাবারের থেকেও বেশি কাজ
করে। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। যা শরীরের জন্য
অত্যন্ত উপকারী। গর্ভাবস্থায় যদি কলমি শাক খেতে পারে গর্ভবতী
মা তাহলে গর্ভবতী মা যে ভিটামিন গুলো পাবে।
ভিটামিন এ , , ভিটামিন সি , ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ও
ক্যারোটিন , এর সবকিছু ভিটামিন গুলো হবে একজন গর্ভবতী মা যদি গর্ভ অবস্থায় কলমি
শাক খেতে পারে। তবে এই জিনিসটা অনেকেই আবার বেশি খেয়ে ফেলে যেমন ভিটামিন রয়েছে
কলমি শাকে ঠিক তেমনি। এটি ক্ষতিকারক হতে পারে তাই পরিমাণ ও পরিমিত মত খেতে হবে
অধিক পরিমাণে খেলে এটি ডায়রিয়া ও বদ হজম ও পেটে পিড়াজনিত সমস্যা হতে পারে
গর্ভকালীন অবস্থায় ।
গর্ভকালীন কলমি শাক খেলে গর্ভ বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিক ও ব্রেনের বিকাশিত ঘটে
পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ পরিমাণ বেশি হয় এতে গর্ভের বাচ্চা পর্যাপ্ত
পরিমাণে দুধ পান করতে পারে। তবে প্রতিদিন শাকসবজি পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবারও
খেতে হবে এবং ভিটামিন যেমন দুধ , ডিম, কলা, আঙ্গুর, কিসমিস,
ইত্যাদি এসব খাবার গুলো পাশাপাশি খেতে হবে।
FAQ/প্রশ্ন কলমি শাক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ কলমি শাকে কি এলার্জি আছে?
উত্তরঃ এলার্জি রয়েছে কিনা এটা অতটাও পরীক্ষিত নয় তবে কিছুটা অ্যালার্জি রয়েছে
খাবার পরবর্তীতে যদি কোন প্রকার এলার্জির পরিমাণ সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই
সে খাবারটাকে এভোয়েড করে চলুন।
প্রশ্নঃ কলমি শাকে কি কি ভিটামিন আছে?
উত্তরঃ কলমি শাখে রয়েছে ভিটামিন এ , , ভিটামিন সি , ক্যারোটিন
, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,
প্রশ্নঃ গর্ভ অবস্থায় কি কলমি শাক খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ গর্ভবতী অবস্থায় কলমি শাক খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃকলমি শাকের ক্ষতিকারক দিক কি?
উত্তরঃ কলমি শাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো হল এটি প্রেশার অনিয়ন্ত্রণ রাখে। কিডনিতে
পাথর জমার সৃষ্টি করে। বেশি খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা যাই।
প্রশ্নঃ কলমি শাক খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
উত্তরঃ কলমি শাক খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে অতিরিক্ত যাদের রক্তচাপ
রয়েছে তারা অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।
লেখকের মন্তব্যঃ কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলতে পারি কলমি শাক খেলে অনেক
উপকার পেতে পারেন এবং পাশাপাশি এর অপকারিতা রয়েছে। তাই অবশ্যই এটি খাবার পূর্বে
সম্পূর্ণটা জেনে বুঝে খেয়াল করে খাবেন। এবং অধিক হারে এটি পরিহার করুন এটির
পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন এদের শরীরে কোন প্রকার
ইফেক্ট করবে না।
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিকগুলো আমরা আজকে এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। অবশ্যই আপনারা পড়ে উপকৃত হবেন এবং অন্যদের
পাশাপাশি পড়ার সুযোগ করে দিবেন। এই বিষয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে
থাকে তাহলে আমাদের অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না ।
আর নতুন নতুন স্বাস্থ্য পেতে ফরিদ আইটি সাথেই থাকুন এবং আমাদের
ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন আবারো নতুন কোন স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে আপনাদের
সাথে দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ
হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url