গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা-১৩টি উপকারিতা জানুন

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা  আপনি কি গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। অনেকেই আছেন গর্ব অবস্থায় নানা রকম দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকে কোন খাবারটা খাওয়া উচিত আর কোন খাবারটা খাওয়া উচিত না এটা ভেবে দুশ্চিন্তা করে । যারা আমাদের জানতে চেয়েছেন                                        

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা

চেয়েছেন গর্ব অবস্থায় মোচা খাওয়ার উপকারিতা। কি কি সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে থাকতে বিস্তারিত আলোচনা চলুন তাহলে জেনে নিন ।কলার মোচা খাওয়ার ১৮ টি উপকারিতা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আপনার সব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।

 সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা কলার মোচা  বা থর খাওয়া উপকারিতা আমরা সকলেই কম বেশি জানি গ্রাম অঞ্চলে যারা বসবাস করে তারা কমবেশি সকলেই জানে কলার মোচা থর। এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন , ও ভিটামিন  ,ক্যালসিয়াম , ফসফরাস  ,ও ইউরিন  ,যার শরীরের উপকারী একটি খাদ্য। আর গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মা প্রচন্ড টেনশন ও প্রচন্ড চিন্তার মধ্যে থাকে যে কোন খাবারগুলো খেলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসবে প্রথমত গর্ভবতী মা সুস্থ স্বাভাবিক থাকলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসবে।

কলার থোর বা মোচা এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। রক্তের যে খারাপ কোলেস্টেরলটা যুক্ত থাকে সেটি দূর করে ভালো কোলেস্টেরল যুক্ত করে এবং রক্ত সঞ্চালন তৈরি করে। গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় যদি কলার থোর বা মোচা খেতে চায় এতে গর্ভের বাচ্চা যে ভিটামিন গুলো পাবে সেগুলো হল। ভিটামিন এ , আইরন, ইউরিন, ফসফরাস , ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ও ম্যাগনেজ ,।

গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মা কলার থোর বা মুচা খেলে গর্ভের বাচ্চা এই পুষ্টিগুণ গুলো পেতে পারে এবং ঘরের বাচ্চা ভালোভাবে বিকাশিত হতে পারবে তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় কলার মোচা বা কাঁচা কলার  ঝোল খেতে পারেন। কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কাঁচা কলার ঝোল খেলে বাচ্চার ব্রেনের বিকাশিত হয় এবং শরীরের গঠন বৃদ্ধি ঠিকঠাক হয়। 

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা

  • গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা? ১৩ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন আপনি জানলে অবাক হবেন যে গর্ভ অবস্থায় কাঁচা কলা বা কাঁচা কলার মোচা  এই আঠারো ধরনের উপকারিতা পেতে পারেন চলুন তাহলে জেনে নিন সে ১৩ টি উপকারিতা গুলো কি কি। যা একজন গর্ভবতী মা পেতে পারে এবং শিশুর উপকার হতে পারে চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন।
  • শিশুর গ্রোথঃ গর্ভবতী মা  যদি গর্ব অবস্থায় কলা বা কলা মোচা খেয়ে থাকে তাহলে শিশুর গ্রোথ ভালোভাবে পেটের মধ্যে বৃদ্ধি হয়।
  • ব্রেনের বিকাশঃ গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মা কলার মোচা বা কাঁচা কলার ঝোল খেলে গর্ভের বাচ্চার ব্রেনের বিকাশিত ঘটে। রক্ত
  • রক্ত সঞ্চালনঃ গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের রক্তের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বা হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না এমন সম্ভাবনা থাকে তাই গর্ব অবস্থায় কলা বা কলার মোচা খেলে রক্তের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় পাশাপাশি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়।
  • আয়রনের ঘাটতিঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাঠে সবসময় ডাক্তার সাজেশন আইরন ওষুধ খেতে দেওয়া হয় কারণ আয়রনের অভাব হলে শরীরে নানা রকম রোগ জীবাণুর বাসা  বাধতে পারে। সে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে কলা বা কলার মোচা। গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খেলে ১০০% আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে।
  • ওজন বৃদ্ধিঃ গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মাকে সবসময় স্বাভাবিক ওজনের মধ্যে থাকতে বলা হয় কারণ গর্ভবতী মা যদি দুর্বল অবস্থায় থাকে তাহলে গর্ভের বাচ্চা অসুস্থ ভাবে পৃথিবীতে আসবে। এই কারণে ডাক্তার সাজেস্ট করেন সবসময় ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে এবং ওজন ঠিকঠাক রাখতে। গর্ভ অবস্থায় কলা বা পাকা কলা কাঁচা কলা বা কাঁচা কলার ঝোল অথবা কলার মোচা খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে এবং ওজন ঠিকঠাক রাখবে।
  •  হজম শক্তিঃ  গর্ভাবস্থায় নানা রকম পেটের সমস্যা দেখা দেয় অতিরিক্ত খাবার খেলে হজম শক্তি থাকে না সাথে সাথে ডায়রিয়া পেট ব্যথা নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সব সময় নরম ও যেসব খাবার খেলে দ্রুত হজম হবে সেসব খাবারগুলো খেতে বলা হয়। তার মধ্যে একটি খাবার হল কলা যা আপনার শরীরের ভিটামিন যোগাবে এবং হজম শক্তি বাড়বে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ গর্ভাবস্থায় খাবার খেলেও হজম হয় না বা পায়খানা সমস্যা হয়ে দেখা দেয় এবং কষ্ট কাঠিন্য হয়ে থাকে। তাই সবসময় যে খাবার খেলে দ্রুত হজম হয় সে খাবার হল এটা বলা হয় যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে কলা বা কলার মোচা খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা মেলে।
  • ডায়াবেটিসের সমস্যাঃ যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে ডায়াবেটিসের রোগী অবশ্যই কাঁচা কলার ঝোল খেতে পারেন এবং পাশাপাশি কলার থোর খেতে পারেন এতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিসের জন্য নানা রকমের ভিটামিনের সমস্যা দেখা দেয়।  ডায়াবেটিকস হলে নানা রকম খাবার থেকে দূরে থাকতে হয় এতে ভিটামিনের ঘাটতি হয়। আর সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে কলা বা কলার মোচা খেলে এতে আপনার ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে।
  • পাতলা পায়খানার সমস্যাঃ যাদের মাঝে পাতলা পায়খানার সমস্যা পেট খারাপ হয়ে যায় তাদের জন্য কলা একটু উত্তম খাবার। অতিরিক্ত পেট খারাপ হওয়ার সমস্যা থাকলে মাঝে মধ্যে কলা ঝোল বা কাঁচা কলার  মোচা খেতে পারেন এতে পেটের সমস্যা দূর হবে। 
  • চোখের সমস্যাঃ যাদের বয়স না হতে চোখের সমস্যা দেখা দেয় নানা রকম ভাবে চোখে ঝাপসা দেখা চোখে জ্বালাপোড়া হওয়া বা চোখ দিয়ে পানি ঝরা। ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী কলা তরকারি বা  কলার খোর খেতে বলা হয়। এতে চোখের সমস্যা দূর হবে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী পাশাপাশি ঔষধ ও  শোভন করতে পারেন এবং যে খাবারে ও ভিটামিন আইরন  রয়েছে সে খাবারগুলো খেতে পারেন।
  • হাড়ের ব্যথাঃ যাদের অতিরিক্ত বাত ব্যাথার মত হারে ব্যথা করে তাদের জন্য বলা হয়েছে আইরনও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে আর প্রচুর পরিমাণে আইরন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে কলা বা কলার মোচাতে। যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা কলা ঝোল বা কলার মোচা খেতে পারেন আর গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের এরকম নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এতে গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় খাবার গুলো খেলে সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে।
  • হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখেঃ যাদের হার্টবিটের সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে দুর্বলতার কারণে দেখা দেয় হৃদপিণ্ড সবসময় দুর্বলতা তাই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম ফসফরাস ইউরিন ও আয়রনের সমৃদ্ধ কলা ও কলার মোচা। এতে আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখবে।
  • জন্ডিসের সমস্যাঃ যাদের মাঝেমধ্যে জন্ডিসের সমস্যা হয় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সব সময় ভিটামিন ও আইরন জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি তরকারি ক্ষেত্রে বলা হয় অতিরিক্ত যে সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে সেসব খাবারগুলো খেতে বলা হয়। আর কলাতে  রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন।
  • গর্ব অবস্থায় যদি কলা খাওয়া যায় বা কলার  মোচা খাওয়া যায় তাহলে এইসব উপাদান পেতে পারে একজন গর্ভবতী মা তাই অবশ্যই কলার মোচা বা কলার ঝোল খেতে পারে গর্ভবতী মা একজন গর্ভের বাচ্চাকে সুস্থ স্বাভাবিকের পৃথিবীতে আসার জন্য অবশ্যই। সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা অনেকেই  আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গর্ব অবস্থায় কাঁচা কলা পাওয়া যাবে। অবশ্যই কাঁচা কলা খেলা দিতে পারে কারণ কাঁচা কলাতে রয়েছে। প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ , ও ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাস , আর এইসব ভিটামিন গুলো পাবে গর্ভের বাচ্চা। একজন গর্ভবতী মা যে খাবারগুলো গ্রহণ করে থাকে সে গ্রহণ করা খাবার থেকে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে সে ভিটামিন গুলো পেয়ে থাকে একজন গর্ভের বাচ্চা।

তাই গর্ভবতী মা যে খাবারটা গ্রহণ করবে সে খাবার গুলো থেকে ভিটামিন গুলো হবে বাচ্চা কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় যদি ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ না করে তাহলে গর্ভের বাচ্চার নানা রকম রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসে। আর যদি ভিটামিনযুক্ত খাবার খেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই গর্ভের ভেতরে থাকা অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চা  গ্রোথ ও ব্রেনের বিকাশ ঘটে। শরীরে যে রোগে আক্রমণ ঘটার আগে ভিটামিন পেলে সেখান থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এবং কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা গর্ভবতী মায়ের রক্তের সমস্যা দূর করবে রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করবে এবং রক্তকে সঞ্চালন করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখবে। তাই অবশ্যই গর্ভ অবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যেতে পারে

  মোচার ঔষধি গুনাগুন

 মোচার ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি জানি যারা আমরা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তারা কম বেশি সকলেই জানি মোচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন ও ভিটামিন এ। এটি খেলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীরের রক্তের আইরনের সমস্যা থাকে তা পূরণ করে এবং পেটে যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে সেটাও দূর করে।

মাঝেমধ্যে নিয়ম করে  মোচা খেলে শরীরে যে রক্তের ঘাটতি আছে সেটি পূরণ করবে গর্ভ অবস্থায় যদি কোন প্রকার ভাবে গর্ভবতী মায়ের রক্তের সমস্যা থাকে বা রক্তে আইরনের সমস্যা ও পেটে যদি কোন প্রকারের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই গর্ভবতী মাঝে মধ্যেই এক থেকে দুই দিন পর পর। মোচা খেতে পারেন এবং এতে পেটের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং রক্তের যে হিমোগ্লোবিন সেটাও তৈরি করবে। তাই বলা হয় মৌচাকে ঔষধি গুনাগুন।

এবং হাড়ের যে বাতব্যথা সমস্যা থাকে মাঝে মধ্যে এক থেকে দুই দিন পর পর খেতে পারে এতে হাড়ের মধ্যে যে বাদ ব্যথা সমস্যা আছে দূর করবে। এর জন্য মোচাকে বলা হয় ঔষধি গুনাগুন।

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়া যাবে কি এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ব অবস্থায় কলা খাওয়াটা অনেক উপকারী একটি ফল কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আইরন ও ক্যালসিয়াম কিন্তু। গর্ভাবস্থায় সব সময় গর্ভবতী মাকে নরম খাবার খেতে বলা হয় যে খাবার গুলো খেলে পাকস্থলীতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
তবে কলা খাওয়া যেতে পারে কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন রয়েছে কিন্তু বিচি কলাতে রয়েছে।আঁশ আজ যা গর্ভবতী মা খেলে কোন প্রকারের হজম সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই অ্যাভয়েড করে চলুন।

কলাতে যেমন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার পরেও কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয় সেটা অনেকেই জানে কিন্তু বিক্রি হলো একটি শক্ত জাতীয় খাবার আর ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মাকে সবসময় নরম জাতীয় খাবার খেতে বলা হয় কলা যেহেতু নরম সেটা খাওয়া যায়। কিন্তু পাশাপাশি এটা খেয়াল রাখতে হবে বিচি খাবার খেলে যদি শক্ত হয় বা এটা হজমের সমস্যা হতে পারে।

এমন কি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ও দেখা দিতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয়ে খাবারে অরুচি চলে আসতে পারে তাই অবশ্যই শক্ত খাবার থেকে বেরিয়ে চলুন গর্ভবতী মা। গর্ভ অবস্থায় সবসময় চেষ্টা করবেন নরম ও যে খাবারগুলো খেলে আপনার হজমের কোন সমস্যা হবে না এবং সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারবেন। কারণ গর্ভবতী মা সুস্থ থাকলে গর্ভের বাচ্চাও সুস্থ থাকে। 

গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে

গর্ভাবস্থায় কলা মোচা খাওয়ার উপকারিতা গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে এর সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন। অনেকটাই এ বিষয়টা সত্য বলে জানা যায় গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মা পুষ্টিকর খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চার বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি ভালো থাকে। কারণ গর্ভবতী মা যতটা সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে এবং যতটা পুষ্টিকর খাবার খাবে ঠিক ততটাই পুষ্টি গর্ভের বাচ্চা পাবে।

তাই গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় যদি কোন পুষ্টিকর খাবার খায় তাহলে গর্ভের বাচ্চা দ্রুত বাড়ে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হয়। বাচ্চার গ্রোথ বৃদ্ধি হয় এবং পেটের মধ্যে বাচ্চা দ্রুত বেড়ে ওঠে। আর কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ আইরন আর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে বাচ্চা দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হবে।
সাধারণত ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার বলে থাকেন গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মাকে সবসময় পুষ্টিকর খাবার খেতে এতে বাচ্চার ব্রেন বিকাশ হয় এবং গর্ভের বাচ্চা বেড়ে ওঠে পাশাপাশি বাচ্চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেয়।

গর্ভাবস্থায় কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি হয় এ কথাটা অনেকাংশই সত্য তাই গর্ভবতী অবস্থায় সবসময় চেষ্টা করবেন আপনারা পুষ্টিকর খাবার খেতে যে খাবারগুলো ।খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং গর্ভের বাচ্চা সুস্থ থাকবে সে সব খাবার গুলো গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলার ঝোল খেলে কি হয়

  • কাঁচা কলার ঝোল খেলে কি হয় এই কথাটা অনেকেই জানতে চেয়েছেন আমাদের কাছে কলার ঝোল খেলে আপনার শরীরের যে আয়রনের সমস্যা আছে সেটা পূরণ করবে দ্রুত এবং রক্তের যে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা থাকে বা রক্ত তৈরি করতে যেয়ে সমস্যাটা হয় সেটা তৈরি করে এবং পাশাপাশি। রক্ত সঞ্চালন করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। পেটে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে কাঁচা কলার ঝোল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেক অংশ দূর হয় ।
  •  এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে খাবার হজমের সমস্যা থাকলে পাকস্থলীতে কোন প্রকার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলার ঝোল খেলে এতে খাবার হজমের সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি শরীরের ওজন ঠিকঠাক রাখে। এমনকি আয়রনের অভাবে যেসব রোগগুলো হয় যেমন গলগন্ড ,ঠোঁটে , ঘা  ,বা জন্ডিসের সমস্যা , লিভারের সমস্য্‌ দেখা দেয় সেইসব সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তাই কাঁচা কলার ঝোল
  •  আমাদের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি। গর্ব অবস্থায় কাঁচা কলার ঝড় ফেলে এসব রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে, আর গর্ভবতী অবস্থায় নানা রকম রোগের আক্রমণের  সম্ভাবনা থাকে তাই অবশ্যই গর্ভবতী মাকে সবসময় পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
  • গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেমঃ যাদের অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম রয়েছে মাঝে মধ্যে কাঁচা করার ঝোল খেলে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
  • জন্ডিসের সমস্যাঃ অতিরিক্ত বারবার জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিলে মাঝেমধ্যে কাঁচা কলার ঝোল বা কলার থোর খেলে এটি জন্ডিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • লিভারের সমস্যাঃ যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে খাবার হজমের সমস্যা রয়েছে মাঝেমধ্যে কাঁচা কলার ঝোল ফেলে এতে পেটের খাবার হজমের সমস্যা দূর করে এবং লিভারের সমস্যা অনেকাংশ কমিয়ে তোলে।
  • গলগন্ডঃ যাদের গলগন্ড রোগ হয় আয়রনের অভাবের কারণে হয় আর কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন যা গলগন্ড রোগ থেকে  রক্ষা করে।
  • ঠোটে ও মুখে ঘা হয়ঃ যাদের অতিরিক্ত ঠোঁটে বা মুখে ঘা হয়ে থাকে এটি ভিটামিন ও আয়রনের অভাবে হয়ে থাকে মাঝেমধ্যে কলার ঝোল ও কলার থোড় খেলে এ ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয় এবং মুখের ঘা হওয়া থেকে রক্ষামিলে।
  • হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলেঃ যাদের অতিরিক্ত হজমের সমস্যা রয়েছে মাঝেমধ্যে কাঁচা কলার ঝোল খেতে পারেন এতে হজম শক্তি   বাড়িয়ে তুলবে।
  • গর্ভ অবস্থায় থাকে যদি যদি কাঁচা কলার ঝোল খেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এসব রোগ থেকে রক্ষা পাবেন এবং গর্ভের বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসবে।

গর্ভাবস্থায় পাকা কলা  খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় পাকা  কলা খেলে যে উপকারিতা গুলো পেতে পারেন সে সম্পর্কে আটকে থাকতে থাকতে বিস্তারিত আলোচনা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পাকা কলা খেলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়। পাশাপাশি যে আয়রনের সমস্যা থাকে সেটিও পূরণ হয়। গর্ভাবস্থায় যদি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে কোন কিছু খাবার পূর্বে এক গ্লাস দুধ ও একটা ডিম সাথে  একটি  পাকা কলা খেয়ে থাকেন । তাহলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে গর্ভবতী মায়ের কারণ গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়ের নানা রকম ভিটামিনের চাহিদা অপূর্ণ থেকে যায়।

ওই সময় যদি গর্ভকালীন অবস্থাতে সম্পূর্ণ ভিটামিন খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে গর্ভের বাচ্চা ভালোভাবে বেড়ে উঠবে এবং গর্ভের বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন যে নানারকম রোগের সমস্যা দেখা দেয় সেই সমস্যা গুলো দূর হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  দ্বিগুণ বৃদ্ধি হবে।

গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়ের কতটা যত্ন নেওয়া যায় ঠিক ততটাই কম কারণ একটি মায়ের ভেতরে আরও একটি শিশু বেড়ে ওঠে আর একজনের ভিটামিন আরেকজন গ্রহণ করে তাই সবসময় চেষ্টা করবে গর্ভবতী মাকে পুষ্টিকর   যে খাবারগুলো  খেলে গর্ভবতী মা সুস্থ থাকে এবং গর্ভের বাচ্চা সুস্থ থাকবে সে খাবারগুলো গর্ভবতী মাকে খাওয়াতে হবে।

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন নিয়ম করে এক থেকে দুইটি করে কলার সাথে একটি ডিম ও এক গ্লাস দুধ প্রতিদিন খাওয়াতে এতে গর্ভবতী মা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা গুলো পূরণ হবে পাশাপাশি গর্ভের বাচ্চাও ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা গুলো পাবে। 

   FAQ/প্রশ্ন গর্ভ অবস্থায় কলার মজা খাওয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ গর্ভকালীন কলা ও থোর খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়?
 উত্তরঃ গর্ভ অবস্থায় পাকা কলা কাঁচা কলা বা কলার থর ফেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের চাহিদা ও আইরন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয় 

প্রশ্নঃ কলার থোর এ কি কি ভিটামিন রয়েছে?
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম , আয়রন , ভিটামিন এ , ভিটামিন ডি, ইউরিন ,

প্রশ্নঃ কাঁচা কলা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ কাঁচা কলা খেলে পেটের চর্বির সমস্যা দূর করে এবং আইরনের চাহিদা পূরণ করে

প্রশ্নঃ কাঁচা কলা খেলে কি কি রোগ থেকে মুক্তি মিলে?
উত্তরঃ ডায়াবেটিক , গলগন্ড, রাতকানা , গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইত্যাদি

প্রশ্নঃ কাঁচা কলা খেলে কি রক্তের পরিমাণ বাড়ে না কমে?
উত্তরঃ কাঁচা কলা বা পাকা কলা খেলে রক্তের পরিমাণ বাড়ে রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করে 

প্রশ্নঃ গর্ভ অবস্থায় বিচি কলা খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ গর্ভ অবস্থায় বিচি কলা এভোয়েড করে চলুন কারণ কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকা সত্ত্বেও গর্ভ অবস্থায় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী শক্ত কোন খাবার খেতে বারণ করা হয়। এতে খাদ্যনালীতে সমস্যা হতে পারে।

শেষ কথাঃ গর্ভ অবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা উপরুক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা বা কলার থোর খেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আইরন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয় পাশাপাশি নানারকম রোগ থেকে রক্ষা মেলে। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং গর্ভের বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে অনেকে মনে করেন গর্ভবতী অবস্থায় কলার থোড় খাওয়া যাবেনা।

এ কথাটা  সম্পূর্ণভাবে ভুল কারণ কলার থোর বা  মোচা তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন অবস্থায় আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় ওই সময় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন জাতীয় খাবার খেতে বলা হয় তাই অবশ্যই গর্ভকালীন অবস্থায় কলার মোচা বা কলার ঝোল অবশ্যই খেতে পারবেন। আশা করি এ বিষয়ে আপনাদের ভালোভাবে বুঝাইতে পেরেছি। এ বিষয়ে যদি

আপনাদের কোন মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং নিত্য নতুন স্বাস্থ্য টিপস বা গর্ভকালীন টিপস পেতে ফরিদা আইটি সাথেই থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তো অবশ্যই আপনার ভাই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কারণ প্রত্যেকটি মানুষের সম্পূর্ণ বিষয় জানা দরকার আবারো কোন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন তো থাকবেন থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url