চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার ১৫টি অসাধারন টিপস

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার কারি পাতা চুলের জন্য অনেক একটি উপকারী প্রোডাক্ট এটি চুল পড়া কমায় চুলের গোড়া শক্ত করে। অকালে চুল পেকে যাওয়া দূর করে ট্রাক জায়গাতে চুল গজাতে সাহায্য করে এবং ছোট ছোট বেবি হেয়ার গজাতে দ্রুত সাহায্য করে। আজকের আর্টিকেলে থাকছে কারি পাতা                       

চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার
 কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন এবং কতটুকু পরিমাণ ব্যবহার করবেন কোন নিয়মে ব্যবহার করলে দ্রুত ফলাফল পাবেন। তাই চলুন পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি এবং জেনে নেই কিভাবে ব্যবহার করবেন কারি পাতা।

সূচিপত্রঃচুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার কারি পাতা চুলের যত্নে প্রচুর পরিমাণে কাজ করে যেমন চুল পড়া কমায় চুলের গোড়া ঠিকঠাক করে। চুলের গোড়া মজবুত করে খুশকি দূর করে কারি পাতায় যে অ্যামিনো এসিড রয়েছে তার চুলের ত্বককে সুন্দর করে। এবং দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য পরে। আজকের আর্টিকেলে থাকতে কারি পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন।

ব্যবহার বিধিঃ কারি পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন এবং একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করুন এপ্লাই করে প্রায় 30 থেকে 40 মিনিট পর শুকিয়ে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে। ধুয়ে ফেলুন এভাবে সাত দিনের চার দিন ব্যবহার করুন এবং দ্রুত চুলের গোড়া শক্ত করুন।

টক দই ও কারি পাতাঃ আরেকটি পেস্ট তৈরি করতে পারেন যেমন একটা চামচ টক দই একটি ডিম ও সাথে কারি পাতা কিছুটা পেস্ট ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এরপর পুরো চুলের গোড়ায় গোড়ায় চুলে ভালোভাবে এপ্লাই করে এক থেকে দেড় ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। এবং এইভাবে টানা সাত দিনের দুই দিন ব্যবহার করুন চুল পড়া কমাবে।

কারি পাতাও নারিকেল তেলঃ আর দশটি কারি পাতা সাথে কিছুটা পরিমাণ নারিকেল তেল ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করুন কারি পাতাকে ভালোভাবে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে এর রস ছাকনির সাহায্যে ছেকেন। এরপর নারিকেল তেলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করে হালকা কিছুক্ষণ শুকিয়ে। রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন পরের দিন সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

এরপরে পরের দিন আপনার ব্যবহার করা নারিকেল তেল তুলে এপ্লাই করুন এভাবে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন এতে নতুন চুল গজাবে এবং চুলকে করবে সিল্কি। চুল পড়া কমিয়ে দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করবে এই কারি পাতা ও নারিকেল তেল তবে অবশ্যই নারিকেল তেলটি খাঁটি হতে হবে।।

কারিপাতা ও অ্যালোভেরা জেলঃ বাড়ি তৈরি এলোভেরা জেল এর সাথে কারি পাতা কিছুটা মিশিয়ে একটি  পেস্ট তৈরি করুন এরপর পুরো চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করে প্রায় দুই ঘন্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ফুলের গোড়া পড়বে শক্ত নরম ও সিল্কি করবে

কারি পাতা চেনার উপায়

কারি পাতা চেনার উপায় কারি পাতা চেনার জন্য অনেকে আমাদেরকে মেসেজ করেছেন যে আপু কিভাবে কারি পাতা চিনবো এবং কারি পাতা আসল চেনার উপায় কিভাবে। তাই চলুন আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিভাবে কারি পাতা চিনবেন এবং কোথায় কারি পাতা আসল খুঁজে পাবেন।

সুগন্ধিঃ কারি পাতা চিনতে হলে প্রথমে আপনাকে তার সুগন্ধ টা উনাকে সুখে দেখতে হবে কারণ কারি পাতার একটি ঝাঁঝালো গন্ধ আছে যা নাকের কাছে নিলেই প্রচন্ড ঝাঁঝালো গন্ধ বের হয়। লবঙ্গ ও আদার মত হয় যা আপনি সেন্ড নাকে নিলেই বুঝতে পারবেন এটি একটি কারি পাতা।

পাতার সাইজঃ কারি পাতা খুব একটা অচেনা কোন কিছু নেই কারি পাতা দেখতে মোটকথা নিম পাতার মতো কিছুটা নিমপাতা যেমন সারিসারি সবুজ হয়ে। থাকে কারি পাতা তবে কিছুটা কারি পাতার সাইজ একটু বড় হয় নিম পাতা থেকে হাফ ইঞ্চি মত লম্বা।

কারি পাতা হাতে নিলে বুঝা যায়ঃ কারি পাতা যখন আপনি হাতে নিবেন যখন হাতের মাঝের তালুতে একটু ভাবে ঘষা দিবেন ঠিক একটি ঝাঁঝালো গন্ধ এবং নিম পাতার মতো একটি গন্ধ আসবে যা আপনাকে। বুঝতে বাধ্য করবে এটি একটি কারি পাতা।

কারি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

  • কারি পাতা চেনার উপায় কারি পাতার যেমন  উপকারিতা রয়েছে ঠিক তার অপকারিতাও রয়েছে তাই প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো মানুষ বিক্রেত কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো নয়। কারি পাতা চুলের জন্য যেমন ভালো ঠিক তেমনি ভেষজ হিসাবে অনেক বেশি কার্যকরী শরীরের জন্য। চলুন তাহলে জেনে নি কারি পাতা খেলে আমাদের কি কি উপকারিতা পেতে পারি।
  • চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নে যদি আপনি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি ১০০% রেজাল্ট ভালো পাবেন এতে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়া হলেও চুল পড়া কমিয়ে দেয়। চুলের গোড়া শক্ত করে মজবুত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এবং মাথার স্কিনের ত্বক ভালো রাখে।
  • চুলের গোড়া ফেটে যাওয়াঃ এটি একটি অস্বাভাবিকভাবে চুলের জন্য খারাপ দিক যা চুলের জন্য প্রচন্ড খারাপ দিকে এক কথায় বলা যায়। কারণ চুলের আগা ফাটলে কোনভাবে চুল লম্বা হতে চায় না স্বাস্থ্যকর হতে চায় না  বরং চুল নষ্ট হয়ে যায় গোঁড়া থেকে এবং ছিঁড়ে যায় পাশাপাশি চুল ভেঙে ভেঙে পড়ে যায়।
  • এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন কারি পাতা যা আপনাকে দ্রুত সমাধান দিবে এবং দ্রুত উপকারিতা দেখা দিবে আপনি এটি নিয়মিত যদি ব্যবহার করেন তাহলে দ্রুত ফলাফল পাবেন আর যদি আপনি মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন তাহলে এর উপকার খুব কম ভাবে পাবেন।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ অনেকেই মনে পড়ে কারি পাতা তো চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায় এটি কি খাবারের জন্য ব্যবহার করা যায় অবশ্যই আপনি এটি কারি পাতা খেতে পারেন তবে কিছু নিয়ম আছে। সাধারণত কয়েকটি কারি পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারের সাহায্য ব্লিন্ডকরে নিন। এরপর এর রস থাকলে সাহায্যে ছেকে নিয়ে হালকা চিনির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে অথবা এক থেকে দুই দিন পর পর সকালে খেতে পারবেন।
  • এতে আপনার পেটে যদি কোন ভাবে হজম শক্তির সমস্যা থেকে দেওয়া বা পাকস্থলীতে খাবার হজমের সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করবে। এবং খাবারের রুচি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে। অনেকেই আছে মনে করে যে এটি তো  চুলের যত্নের ব্যবহার কোনোভাবে খেলে ক্ষতি হবে কি এটি খেলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
  • রক্তের শর্করা কমায়ঃ যাদের রক্তে শর্করা মাত্রা অত্যাধিক বেশি কোনভাবে অসুস্থ থেকে সেরে উঠতে পারছেন না তাদের ক্ষেত্রে খেতে পারেন কারি পাতা। খেলে রক্তের শর্করা মাত্রা দ্রুত কমিয়ে তোলে এবং স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরিয়ে দেয়।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ অনেকেই মনে করে যে কারি পাতা শুধু চুলের ব্যবহার নয় এটি ভেষজ ঔষধ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যাধিক এতে বিভিন্ন রকমের রোগের সমাহার দেখা দেয়। কোনভাবে যদি আপনি পরীক্ষিতভাবে বুঝতে পারেন আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি।
  • তাহলে খেতে পারেন কারি পাতায় এতে দ্রুত সমাধান দেবে এবং দ্রুত রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে দেবে। চলুন তাহলে জেনে নিন এর অপকারিতা গুলো কি কি
  • অপকারিতাঃ অপকারিতা বলতে সাধারণত গর্ব অবস্থায় কোনভাবে কারি পাতা খাবেন না আপনি চাইলে চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন যদি গর্ব অবস্থায় কোনভাবে কারি পাতা ব্যবহার করেন বা খাবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন। তাহলে এটি স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে বা গর্ভের বাচ্চার ও ক্ষতি হতে পারে
  • অতিরিক্ত খাওয়াঃ কোনভাবে কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নাই আপনি যদি এটি খেতে চান তাহলে নিয়ম মেনে কতটুকু পরিমান খেতে হবে ততটুকু খাবেন অতিরিক্ত খেলে এটি পেটে বদনের সমস্যা বমি বমি বা পেট খোলা খাবারে অরুচি আনতে পারে। সাধারণত কারি পাতার রস সাধারণত এক থেকে দেড় চা চামচ খাওয়া যায় এর বেশি কোনভাবে খাওয়া যায় না।
  • ডায়াবেটিসের সমস্যাঃ যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে কোনভাবে কারি পাতার রস খাবেন না এতে আপনার ঔষধের গুনাগুন হারিয়ে খারাপ দিকে আনতে পারে। তাই ডায়াবেটিস অবস্থা কোনভাবে কারি পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

FAQ/কারি পাতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ কারি পাতা চুল গজানোর উপায়?
উত্তরঃ সাধারণত কারি পাতা চুলে ব্যবহার করলে দ্রুত চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে তবে কিছু পদ্ধতি আছে। কারি পাতা ও মেথি একসাথে ব্যবহার করুন এবং চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করুন সাধারণত সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। অথবা কারি পাতার সাথে টক দই এক চা চামচ টক দই দু তিন চামচ কারি পাতার রস ভালোভাবে এপ্লাই করুন।

প্রশ্নঃ  কারি পাতা   চুলের কি কাজ করে?
উত্তরঃ সাধারণত চুলের গোড়া শক্ত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে দ্রুত চুল পড়া কমায় এবং মাথার ত্বক শুষ্ক স্বাভাবিক রাখে খুশকি  কমায়।

প্রশ্নঃ ফুলের জন্য   উপকারী ভেষজ উপাদান কি কি?
উত্তরঃ চুলের জন্য ভেসে উপাদান হল যেমন মেথি, কারি পাতা , টক দই, ডিম, মেহেদী, কেশরাত গাছ বিভিন্ন উপাদান আরো রয়েছে।

প্রশ্ন ঃ কারি পাতার বাংলা নাম কি?
 উত্তরঃ কারি পাতার বাংলা নাম হচ্ছে এক কথায় বলা যায় যা জানো ও সুগন্ধি পাতা ঝাঁজালো পাতা

প্রশ্নঃ চুলের যত্নে কি কি ব্যবহার করা উচিত? 
উত্তরঃ চুলের যত্নে সাধারণত আপনি ব্যবহার করতে পারেন আমলকি পেঁয়াজের রস  মেহেদি ।

কারি পাতা কোথায় পাওয়া যাবে

কারি পাতা কোথায় পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসল কারি পাতা কোথায় পাব এবং কিভাবে ব্যবহার করব সেই সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তাই চলুন আমরা আলোচনা করব কোথায় পাবেন কারি পাতা।

বাসায় লাগাতে পারেঃ বাজারে কোন এক জায়গায় বা কোন নার্সারিতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন কারি পাতার ফটো কোন চারা আছে কি বাসায় এনে। ভালোভাবে লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং সেখান থেকে ব্যবহার করতে পারেন কারি পাতা।

দোকানঃ বাজারে গিয়ে কোন বৌদির দোকানে বা বাজারে খোলা বাজারে বিক্রি  হয় কারি পাতা  তবে আপনাকে  চিনে নিতে হবে কারি পাতা যেমন কারি পাতা দেখতে সবুজ এবং নিম পাতার মত লম্বা লম্বা হালকা একটু গোলাকার, পাশাপাশি আরও একটা জিনিস আপনাকে বুঝতে হবে সেটা হলো কারি পাতা সুগন্ধি পাতা এর সুগন্ধি প্রায় ঝাঁঝালো।

হাতে নিলে হাতের তালুতে ঘষা দিলে একটু ঝাঁঝালো গন্ধ বের হয়ে আসে এবং হাতের তালু হালকা জালা ভাব দেখা যায়। এভাবে চিনে নিতে পারেন কারি পাতা বা কোন আপনার পরিচিত দোকান থেকে আসল কারিপাতা চীনে কিনে নিয়ে আসতে পারেন।

কারি পাতা ব্যবহার করে কীভাবে চুল লম্বা করা যায়

  • কিভাবে ব্যবহার করলে দ্রুত চুল লম্বা হবে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেক আপু ভাইয়েরা রিকোয়েস্ট করেছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য। তাই চলুন আজকের আর্টিকেলে আমরা জানাবো কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং কোন জিনিসের সাথে ব্যবহার করে দ্রুত ফলাফল পাবেন কারি পাতা ব্যবহারে।
  • ডিম কারি পাতাঃ একটি সাধারণ মুরগির ডিম ও কারি পাতার হালকা রস ভালোভাবে একটি পেজ তৈরি করুন এবং পুরো চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করুন প্রায় 40 মিনিট মাথায় রেখে দিন। এরপর চুলকে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিন পরিষ্কার করা চুলে আবারো এপ্লাই করুন আপনার ব্যবহারিত খাঁটি নারিকেল তেল। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন
  • আমলকীয় কারিপাতাঃ আমলকি ও কারি পাতা ভালোভাবে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে একটি  পেস্ট  তৈরি করুন এবং  চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করুন এরপর ১ থেকে ২ ঘন্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং দ্রুত ফলাফল দেখুন  এইভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করুন।
  • অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ ঃ   অনেকেই আছেন এমন অল্প বয়সেই একটু পেকে সাদা হয়ে যাচ্ছে কোন ভাবে এর ফলাফল পাচ্ছেন না তাদের ক্ষেত্রে বলবো আমলকি, কারি পাতা ও টক দই একসাথে একটি পেজ তৈরি করুন এবং পুরো চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করে প্রায় সপ্তাহে চারদিন ব্যবহার করুন। এবং দ্রুত চুল পেকে যাওয়া রোধ করুন
  • মেথি ও কারি পাতাঃ সাধারণত মেথি চুলের জন্য অনেক একটি উপকারী প্রোডাক্ট আপনি চাইলে কারি পাতার সাথে ব্যবহার করে দ্রুত চুল লম্বা করতে পারবেন এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে পারবেন। আপনার ব্যবহার করা নিয়মিত নারিকেল তেলের সাথে কিছুটা শুকানো কারি পাতা ও কিছুটা ভেজানো মেথি। একসাথে ভিজিয়ে রাখুন নারিকেল তেলের সাথে একদিন এবং পরের দিন হালকা আচে গরম করুন এরপর তেল ঠান্ডা করে রাতে ঘুমানোর পূর্বে।
  • প্রতিদিন ব্যবহার করুন প্রায় ১৫ দিন টানা ব্যবহার করুন এভাবে দ্রুত ফলাফল পাবেন এবং দ্রুত চুল লম্বা করবে চুলের গোড়া করবে শক্ত। খুশকি দূর করবে মাথার ত্বক শুষ্ক ও নরম স্বাভাবিক রাখবে দ্রুত চুল বাড়াতে সাহায্য করবে।

কারি পাতা ব্যবহারের নিয়ম

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার কারি পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন এ বিষয়টা আমাদের আর্টিকেলে। অনেকবার আমরা আলোচনা করেছি তারপরও আরো কিছুটা টিপস আপনাদেরকে ভালোভাবে আরো একবার জানিয়ে দিচ্ছি আপনি বিভিন্ন জিনিসের সাথে বিশেষ করে চুলের যত্নে যে জিনিসগুলো ব্যবহার করা যায় সেগুলোর সাথে ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন নারিকেল তেলঃ সাধারণ নারিকেল তেলের সাথে কয়েকটি শুকানো কারি পাতা দিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করতে পারেন এতে দ্রুত চুল পড়া বন্ধ করবে এবং চুল লম্বা করতে সাহায্য করবে।

মেথিও কারি পাতাঃ নেথি ও কারি পাতা দুটো চুলের জন্য উপকারী একটি প্রোডাক্ট আপনি চাইলে দুটো একসাথেই ব্যবহার করতে পারেন। সারারাত জলে এক থেকে দেড় চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন ভিজিয়ে রাখার জল এবং কারি পাতা ভালোভাবে ব্লেন্ডারের সাহায্যে বিলীন করে তার ছাকনির সাহায্যে ছেকে নিন। তার রস একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন এতে দ্রুত চুল পড়া কমাবে।

 টক দই ও কারি পাতাঃ আপনি চাইলে চোরের একটি  মাক্স  তৈরি করতে পারেন এর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ২ চা চামচ টক দই ও 2 চা চামচ কারিপাতা। ও দুই থেকে তিনটা চামচ সাধারণ নারিকেল তেল দিয়ে একটি স্কার্ফ তৈরি করতে হবে। এরপর আপনি পুরো চুলে ভালোভাবে এপ্লাই করার পর দুই থেকে তিন ঘন্টা পর ভালোভাবে নরমাল শ্যাম্পু দিয়ে গরম পানি দিয়ে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কারি পাতার দাম

আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন বাজারে কারি পাতা কিনতে গেলে কিভাবে কম দামে কিনতে পারবেন। এবং কারি পাতার আসল দাম কত টাকা কেজি এবং কত টাকা ভাবে কিনা যায় এবং গাছ কিভাবে কিনা যায়। তাই চলুন আজকে আর্টিকেলে থাকছে কারি পাতার আসল দাম।

দামঃ আপনি যদি একটি কারি পাতার চারা গাছ কিনতে যান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচশ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হবে। সে গাছের চারা বাসায় এনে বাসায় রোপন করে সারা বছর আপনি সেই পাতা ব্যবহার করতে পারবেন চুলের যত্নে।

বাজারে দামঃ যদি আপনি কারি পাতা গোড়া হিসেবে কিনতে চান তাহলে আপনাকে ১০০ গ্রাম কারি পাতার দাম কমপক্ষে আড়াইশো টাকা গুনতে হবে এবং যদি আপনি 200 গ্রাম কারি পাতা নিতে চান তাহলে আপনাকে চার থেকে সাড়ে চারশ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে।

পাইকারি কোন দোকান থেকে যদি আপনি কারি পাতার পেস্ট বা গুড়ার প্যাকেট কিনতে চান তাহলে আপনাকে কেজি হিসাবে যেমন কেজি দরে সাত থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি কারিপাতা কিনতে পারবেন তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে মাঝেমধ্যে বিক্রি হয়।

FAQ/কারি পাতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন ঃ কারি পাতা কি ক্ষতিকর?
উত্তরঃ কারি পাতা কোনভাবে ক্ষতিকর নয় এটি চুলের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি ভেষজ ওষুধ হিসাবে অত্যন্ত উপকারী। তবে আপনি যদি এর অপব্যবহার করে ব্যবহার করেন তাহলে এটি ক্ষতিকারক হতে পারে

প্রশ্নঃ খালি পেটে কারি পাতা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ সাধারণ তো খালি পেটে কারি পাতা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তের খারাপ হল দূর করে।  চর্বি কমে যায়

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কারি পাতার চা খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ সাধারণত প্রতিদিন কারি পাতার চা খাওয়া যায় তবে অনেকে এটি খেতে চায়না মাঝেমধ্যে খেতে পারেন বা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় চা রাখতে পারেন।

প্রশ্নঃ কারি পাতা খেলে কি পেটের মেদ কমে?
উত্তরঃ কারি পাতা খেলে পেটের মেদ কমে এটা সত্যি কথা আপনার যদি অতিরিক্ত পেটে চর্বির কারণে পেট উঁচু হয়ে যায় বা মেদ বেড়ে যায় তাহলে আপনি। খেতে পারবেন কারি পাতা মাঝেমধ্যে বা প্রতিদিন খেলে দ্রুত সমাধান পাবেন।

প্রশ্নঃ চুল গজানোর জন্য কি কারি পাতা খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ সাধারণত কারি পাতা চুলের যত্নের ব্যবহার করা যায় এটা যদি আপনি খেতে চান তাহলে আপনার শারীরিক সমস্যার জন্য সেটা সমাধান পাবেন তবে। চুলের যত্নে ব্যবহার করতে হলে আপনাকে তুলে ব্যবহার করতে হবে এবং ফুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করতে হবে এতে দ্রুত সমাধান ও ফলাফল পাবেন।

চুল পাকা রোধে ব্যবহার করুন কারি পাতা

  • চুল পাকার ওদের ব্যবহারকরণ কারি পাতায় এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন আসলেই কি পাকা চুল কোনভাবেই কারি পাতা ব্যবহারে। দ্রুত পাকা চুল কালো হয় আসলে এ কথাটা অনেকাংশই সত্য তবে যদি আপনি নিয়ম মেনে নিয়ম মত ব্যবহার করেন তবে আপনি দ্রুত ফলাফল পাবেন।
  •   টক দই কারি পাতাঃ টকদই ও কারি পাতা একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এরপর পরিষ্কার চুলে ভালোভাবে গোড়ায় গোড়ায় পুরো চুলে এপ্লাই করে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা শুকিয়ে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সাপ্তাহে ৪-৫ দিন ব্যবহার করুন এবং দ্রুত ফলাফল পাবেন।
  • নারিকেল তেল ও কারি পাতাঃ নারিকেল তেলের সাথে কারি পাতা ও মেথি ভালোভাবে মিশিয়ে এটি চুলাতে হালকা গরম করে নিতে পারেন এবং তেলটি ঠান্ডা হবার পর রাতে ঘুমানোর পূর্বে প্রতিদিন চুলের গোড়ায় গোড়ায় এপ্লাই করতে পারেন এভাবে দ্রুত পাকা চুল কালো হতে পারে।
  • কালোকেশী ও কারি পাতাঃ এই দুই গাছ মিলে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং এর দুই রস ভালোভাবে পুরো চুলের গোড়ায় গোড়ায় পুরো সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। এবং দ্রুত ফলাফল নিজেই দেখুন

শেষ পাতাঃচুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলতে পারি কিভাবে ব্যবহার করবেন কারি পাতা চুলের যত্নে এবং কতটুকু পরিমান ব্যবহার করলে কতটুকু ফলাফল পাবেন ।সে সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলের আলোচনা করেছি। এবং কোন কোন বিষয়ের জন্য কারি পাতা ব্যবহার করবেন

 এবং কোন জিনিসের সাথে ব্যবহার করলে দ্রুত ফলাফল নির্বিশেষে সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আর্টিকেল বিষয় যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে কোনভাবেই তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আপনাদেরকে যথাসাধ্য কমেন্টের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

আর আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টি থাকবেন আশা করছি যেভাবে আমরা নিয়ম নীতিগুলো তুলে ধরেছি সেভাবে চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারবেন কারি পাতা এবং দ্রুত সমাধান পাবেন। আশা করছি আর্টিকেলটা আপনি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।

তাই আপনার ভাই ও বন্ধুদের এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী কারি পাতা ব্যবহার করতে উদ্যোগ করে তুলুন। নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন আবারো কোন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url