গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়-খাবারের তালিকা
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় গর্ভবতী অবস্থায় একটি সেনসিটিভ সময় যে সময়ে গর্ভবতী মায়ের কোন কিছু খাবার খেলে সেটা দুই থেকে চার বার ভেবে খেতে হয় যাতে । গর্ভবতী মায়ের কোন প্রকার ক্ষতি না এবং গর্ভের বাচ্চার যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হয়। এবং গর্ভবতী মা আরও বেশি চিন্তি
![]() |
সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
- FAQ/গর্ভাবস্থায় খাওয়া সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
- গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
- FAQ/গর্ভাবস্থায় খাওয়া সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
- গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না
- কি আমল করলে গর্ভের বাচ্চা বেশি সুন্দর ও বুদ্ধিমান হবে
- শেষ কথাঃগর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের একটি
চিন্তা থাকে যে কোন খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চা সুন্দরভাবে বিকাশিত হবে এবং তার
মস্তিষ্ক মেধাবী হবে। বা সুন্দর একজন বাচ্চা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে পারবে। তাই
গর্ব অবস্থায় বিভিন্ন খাবার খাওয়ার আগে গর্ভবতী মাকে দশবার ভাবতে হয় যাতে
গর্ভের বাচ্চা কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় কোন খাবারের দারাই।
চলুন তাহলে জেনে নিয়ে আজকে আমরা গর্ভাবস্থায় কি কি খাবেন এবং কি কি
আমল করবেন যার দ্বারা আপনার গর্ভের বাচ্চা সুন্দর ও বুদ্ধিমত্তা মেধাবী হবে।
প্রথমত আপনাকে বলব গর্ভের বাচ্চা সুন্দর ও মেধাবী হওয়ার জন্য ১০০% মায়ের
মায়ের খাবারের তালিকার ওপর এবং মায়ের যত্নশীলতা এবং কিছু আমলের দ্বারায় একজন
গর্ভের ভাষায় সত্য স্বাভাবিক ও মেধাবী হতে পারে।
আরো পড়ুন
গর্ভাবস্থায় বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা
ডিমঃ প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দুইটি ডিম খেতে পারেন দেশি মুরগি এতে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যা গর্ভের বাচ্চার
মাথার ব্রেনের সর্বাধিক ভাবে পূরণ করার চেষ্টা করে।
দুধঃ হল একটি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা সারাদিনে কমপক্ষে। 250 গ্রাম দুধ
পান করুন এতে গর্ভের বাচ্চারা হাড়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে কাজ করবে।
শাকসবজিঃ প্রচুর পরিমানে শাকসবজি খেতে থাকুন এবং শাকসবজি খেলে গর্ভের বাচ্চা
চেহারা সুন্দর ও শরীরে যে পুষ্টি ঘাটতি থাকে গর্ভাবস্থায়থাকতে একজন গর্ভবতী
মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় বাচ্চার। ৩০ পার্সেন্ট ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হয়ে
পৃথিবীতে আসে। আর এই খাবারের দ্বারায় আপনি চাইলে আপনার গভীর বাচ্চার 40 থেকে 50
পার্সেন্ট ডেভেলপমেন্ট করে পৃথিবীতে আনতে পারেন।
শাকঃ প্রচুর পরিমাণে শাক খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম
মিনারেল আয়োডিন রয়েছে যার কারণে গর্ভের থাকা অবস্থায় গর্ভের বাচ্চার যে
ভিটামিন গুলোর প্রয়োজন পড়ে সম্পূর্ণভাবে পেতে পারে। গর্ভাবস্থায় থাকা যে
সাতগুলো খেতে পারেন পুঁইশাক পালং শাক লাল শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় গর্ভাবস্থায় কি খেলে গর্ভের বাচ্চা
কালো হবে সেই সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন এই কথাটা কতটা সত্য আর কতটা
অবান্তরিত সে সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। গর্ভের বাচ্চা ফর্সা হয়
মূলত কম বেশি তার বংশগতি বা তাদের ফ্যামিলি বা বাবা-মায়ের চেহারার ওপর
নির্ভর করে। এ কথাটা অনেকটাই ভুল যে কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এটি একটি ভুল
পরামর্শ
তবে হ্যাঁ গর্ব অবস্থায় আপনি আপনার বাচ্চাটি সুস্থ রাখার জন্য বাচ্চাকে মেধাবী
করার জন্য বা বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর জন্য বাচ্চার শক্তিশালী করার জন্য।
কিছু পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন সেই পুষ্টিকর খাবারের তালিকা আমরা আজকের
আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব যেগুলো খেলে আপনার গর্ভের বাচ্চার সুস্থ
স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসতে পারবে এবং একজন মেধাবী ও স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে
আসতে পারে।
দুধ ও জাফরানঃ একসাথে খেতে পারেন জাফরান ও দুধ এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ
ভিটামিন যা আপনার গর্ভের বাচ্চার যে ভিটামিন গুলো গর্ভ অবস্থায় থাকায় পাওয়ার
প্রয়োজন। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস দুধের সাথে কয়েকটা জাফরান ভালোভাবে
গরম দুধের সাথে মিশিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারেন
শক্তিশালী ও শরীরের হার ও মাংসপেশি শক্ত ও স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে হয়ে আসতে
পারবে যদি জাফরান ও দুধ একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়া যায়। পাশাপাশি
আপনি অন্যান্য ফল খেতে পারেন আজকের আর্টিকেলে থাকছে আরো কি কি ফল খেতে পারেন
যা খেলে আপনার বাচ্চার দ্রুত ব্রেনের বিকাশ ঘটবে।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায়যে যে ফলগুলো খেলে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হতে পারে বা গর্ভের বাচ্চা
ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। গর্ভবতী অবস্থায়
একটা সেনসিটিভ সমান যে সময় কোন খাবার খেলে দরকার মেয়েদের খেতে হবে কারণ গর্বের
বাঁচারও ক্ষতি হতে পারে গর্ভবতী মায়ের ও ক্ষতি হতে পারে।
পেঁপেঃ গর্ভবতী অবস্থায় কোনভাবে কাটা পেঁপে বা পাকা পেঁপে কোনভাবে খাওয়াটা
গর্ভবতী মায়ের জন্য ঠিক নয় তাই সর্বাধিক ভাবে চেষ্টা করবেন পাকা পেঁপে বা কাঁচা
পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে তা না হলে গর্ভের বাচ্চার গঠতে পারে বা
গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হতে পারে।
আনারসঃ আনারস গর্ভবতী মায়েদের জন্য ক্ষতিকারক তাই গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম দুই
চার মাস কোনো ভাবে আনারস গর্ভবতী মায়ের জন্য ঠিক হবে না তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন
গর্ভবতী কালীন দুই থেকে চার মাস অথবা পাঁচ মাস মত কোন ভাবে আনারস না খাওয়া থেকে
বিরত থাকুন।
আরো পড়ুন গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা
আঙ্গুরঃ আঙ্গুর একটি পুষ্টিকর খাবার তারপরেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী
শেষ সময় দুই থেকে চার মাস এই সময়ের মধ্যে কোনভাবে আঙ্গুর খাওয়া গর্ভবতী মায়ের
জন্য ঠিক নয়। তাই গর্ভকালীন সর্বাধিক ভাবে চেষ্টা করবেন গর্ভবতী শেষ সময়।
আঙ্গুর না খাওয়ার বেটার
কাঁচামালটাঃ কাঁচামালটা গর্ভবতী অবস্থায় খাওয়া যায় যতটা উপকার এর ক্ষতিও
রয়েছে কারণ কাঁচামাল তাদের রয়েছে তার টনিক এসিড যা গর্ভকালীন গর্ভের দুই থেকে
চার মাস এর মধ্যে খাওয়া যায় কিন্তু শেষ সময়ের মধ্যে খাওয়া। গর্ভবতী মায়ের
জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাই গর্ভবতীর শেষ সময় কোনভাবেই কাঁচা মাল্টা না
খাওয়াই ভালো।
FAQ/গর্ভাবস্থায় খাওয়া সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি হয়?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় সর্বাধিক চেষ্টা করবেন চর্বিহীন খাবার খেতে যেমন মাছ
মাংস ডিম প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ভিটামিনযুক্ত ফল।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কত দিন খেতে হয়?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড আপনি কমপক্ষে খেতে পারে দশ সপ্তাহ বা ১২ সপ্তাহ
মতো খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ বাচ্চা পেটে থাকলে কি কি খাওয়া নিষেধ?
উত্তরঃ বাচ্চার পেটে থাকলে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ডিম দুধ ফলমূল এগুলো
খেতে পারেন কিন্তু অস্বাস্থ্যকর বা দূষিত খাবার বাইরের কোন ফুচকা চটপটি বা
অশুদ্ধ। সিদ্ধহীন খাবার খেলে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হতে পারে।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কোন বাদাম খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ গর্ভ অবস্থায় কাজু বাদাম চিনা বাদাম খাওয়া যায় তবে অতিরিক্ত তেল
চর্বিযুক্ত বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় দুধ বের হলে কি হয়?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় দুধ বের হওয়া এতে অস্বাভাবিক কিছু নয় তবে প্রথম প্রথম
কয়েক মাসের মধ্যে আসলে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু যদি এটি বাচ্চা
হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এরকম কিছু হয় তাহলে এটি কোন চিন্তার বিষয় নয়।
গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়
- জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয় এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেক আপুরা জানতে চেয়েছেন তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব জাফরান খেলে। কি সত্যি বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে থাকতে বিস্তারিত আলোচনা তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবংজেনে নিন।
- জাফরান ও দুধঃ গর্ব অবস্থায় জাফরান ও দুধ খেতে বলা হয় কারণ গর্ভবতী মায়ের যে পুষ্টি ঘাটি থাকে শরীরের তার শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য স্বাভাবিক রাখার জন্য। এবং গর্ভের বাচ্চা যাতে সুস্থ স্বাভাবিক থাকে তার জন্য জাফরান ও দুধ একসাথে মিশ্রণ করে খেতে বলা হয়।
- গায়ের রং ফর্সা হবে জাফরান খেলে এটা কোনভাবেই জোর দিয়ে বলা যায় না তবে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী জাফরান হলো একটি জাদুকরের ভেষজ ঔষধের মতো কাজ করে। যা নিয়মিত খেলে গর্ভের বাজার হাড় ও মাংসপেশি শক্ত করে ব্রেন ডেভেলপমেন্ট করে।
- গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়ের পেটে বিভিন্নভাবে ব্যথা অনুভব করে শরীরের টানটান ব্যথা অনুভব করা জাফরানের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা নিয়মিত খেলে গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন রকমের ব্যথা অনুভব করা থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু কোনভাবে জোর দিয়ে বলা হয়নি যে জাফরান খেলে বাচ্চা ফর্সা হবে।
- তবে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চললে বা কিছু আমল করলে হয়তো বা বাচ্চা ফর্সা হতেও পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তবে আপনি যদি নিয়মিত যাত্রার ও দুধ মিশন করে খেতে পারেন ।এতে আপনার বাচ্চার শরীরে ডেভলপমেন্টের জন্য প্রচুর পরিমাণে কাজ করবে পাশাপাশি আপনার সুস্থ স্বাভাবিক থাকার জন্য ভেষজ হিসেবে। অনেকটাই কাজ করবে
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
কি খেলে বাচ্চা লম্বা হবে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন তাই
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কি কি খাবার খেলে দ্রুত বাচ্চা লম্বা হয় বা আদৌ
সত্যি এই বিষয়টা কতটা সত্য এ সম্পর্কে থাকতে বিস্তারিত আলোচনা তাই পুরো
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকার করতেই থাকুন।
গর্ভকালীন কিছু খাদ্য ভ্যাসঃ কিছু খাদ্য আছে যে খাবারগুলো খেলে গর্ভের বাচ্চার
সুস্থ স্বাভাবিক এবং ব্রেন ডেভেলপমেন্ট পাশাপাশি শরীরের উন্নতি হতে পারে। সেই
খাবার গুলো কি কি থাকতে বিস্তারিত তাই পুরো আর্টিকেলটি পরতে থাকুন।
আয়োডিনযুক্ত খাবারঃ প্রচুর পরিমাণে আয়োডিনযুক্ত খাবার খেতে থাকুন যেমন কলমি শাক
পালং শাক সজনে পাতার শাক সবুজ শাক লাল শাক প্রচুর পরিমাণে খেতে থাকুন
গর্ভকালীন। এতে গর্ভের বাচ্চার শরীরে আয়োডিনের অভাব পূরণ করবে এবং হাড় ও
মাংসপেশী শক্ত করবে বুদ্ধিমত্তা করবে।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারঃ গর্ভকালীন গর্ভের বাচ্চা থাকা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে থাকুন হাড়ের অনেক পরিমাণে উপকারে আসে। অনেকেই আছেন
গর্ভের বাচ্চা আসার পর গর্ভবতী মা দুর্বলতা অনুভব করেন এবং গর্ভের বাচ্চা
হবার বাচ্চাও দুর্বলতা আসে। এর ফলে হারের সমস্যা দেখা দেয় তাই গর্ভে বাচ্চা
থাকা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার।
প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে থাকুন এতে গর্ভের
বাচ্চা ভালোভাবে গর্বের মধ্যে বিকশিত হবে এবং ভালোভাবে বেড়ে উঠবে। পাশাপাশি
প্রোটিনের ভিটামিনের যে চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করবে।
ভিটামিন এ এবং ডি যুক্ত খাবারঃ গর্ভে বাচ্চা থাকা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ যুক্ত খাবার ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে থাকুন।
ভিটামিনের যে অভাব রয়েছে তা অসম্পূর্ণভাবে থেকে যাওয়ার কারণে গর্ভের বাচ্চা
বিভিন্নভাবে। স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসে না বিভিন্ন রকম অটিস্টিক বাচ্চা হয়।
তাই গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ভিটামিন ডি যুক্ত
খাবার খেতে থাকুন।
গর্ভকালীন কোন ভাবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় যে কোন খাবার খেলেই গর্ভের বাচ্চা
লম্বা হবে এমন কোথাও লেখা নেই বা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। আপনি এইসব
খাবারগুলো খেতে পারেন। বা এই নিয়ম অনুযায়ী আপনি নিজেকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে
পারেন পাশাপাশি গর্ভের বাচ্চাকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আনতে পারেন বা
গর্ভের বাচ্চার ব্রেন ভালোভাবে বিকাশিত করার জন্য এই খাবারগুলো
খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় গর্ভকালীন কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা সে
সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন। গর্ভকালীন হলো একটি সেনসেটিভ সময় এ
সময় বিভিন্ন খাবার খাওয়ার আগে দশবার ভাবতে হয় আসলে কোন খাবারটা খেলে গর্ভের
বাচ্চার জন্য উপকার। এবং কোন খাবারটা খেলে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
আরো পড়ুন উম্মে দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
আসলে কোন ভাবে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি এইরকম সবজি খাওয়া যাবে না এমন ভাবে কোন
জায়গা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় তাই কোন কিছু খাবার খাওয়ার আগে ডাক্তারি
পরামর্শ নেওয়াটা দরকারি গর্ভকালীন অবস্থায়। পাশাপাশি আপনি কিছু খাবার এড়িয়ে
চলতে পারেন যেমন পচা বাঁশি খাবার অপরিষ্কার খাবার বা কাঁচা অশুদ্ধ খাবার।
যেমন কাঁচা পেঁপে খাওয়া গর্ভকালীন এর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অপরিষ্কার খাবার
গর্ভকালীন বাইরের অপরিষ্কার বা বাইরের পাসপোর্ট খাবার। ঝাল বা ভাজাপোড়া খাবার
গর্ভকালীন সময় এভোয়েড করে চলা বুদ্ধিমানের কাজ কারণ গর্ভকালীন নানা রকমের
ঝুঁকিপূর্ণ আসে। তাই প্রত্যেকটা খাবার খাওয়ার আগে সচেতনতা থাকা দরকার।
অপরিষ্কার রান্নাঃ করার পূর্বে অবশ্যই কোন সবজি যে সবজিটি রান্না করবে ভালোভাবে
পরিষ্কার করে ধুয়ে এবং ভালোভাবে রান্না করে সিদ্ধ করে খেতে পারবেন। যদি কোনভাবে
অশুদ্ধ হয়ে থাকে বা সিদ্ধ হয়নি এরকম খাবার খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে।
কাঁচা খাবারঃ কোন কিছু কাঁচা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তবে আপনি ভিটামিন সি
যুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন। রান্না করার সময়
প্রত্যেকটি খাবারকে ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে সে খাবারগুলো পরিবেশন করুন
এবং সেটি খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
- গর্ভকালীন কি কি ফল খাইলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসবে সে সম্পর্কে আটকে থাকে বিস্তারিত আলোচনা। গর্ভকালীন গর্ভবতী মা সবসময় চেষ্টা করেন পুষ্টিকর ফলমূল খেতে তবে সে পুষ্টিকর ফলমূল গুলো কি কি তাই থাকতে বিস্তারিত।
- কমলাঃ গর্ভকালীন প্রথম তিন থেকে ছয় মাস প্রচুর পরিমাণে কমলা খেতে থাকো এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি রয়েছে যার ফলে গর্ভের বাচ্চার ভিটামিন সি ও বি এর অভাবে যে রোগ গুলো দেখা দেয় সেগুলো থেকে মুক্ত থাকবে।
- কলাঃ প্রচুর পরিমাণে গর্ভকালীন অবস্থায় পাকা কলা খেতে পারেন কারণ পাকা কলাতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি বাড়ায় প্রতিদিন সকালে একটি করে পাকা কলা সাথে এক গ্লাস ডিম খেতে পারেন। গর্ভকালীন প্রথম ছয় মাস এভাবে খেতে থাকুন এতে গর্ভবতী মায়ের যে ভিটামিনের ঘাটতি বা শক্তির ঘাটতি হয়। সম্পূর্ণভাবে পূরণ করে পাশাপাশি গর্ভের বাচ্চা ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন লাভ করে।
- স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি ক্ষেতে বলা হয় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী করো খ্রিস্টাবেরীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি আপনি গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম পাঁচ থেকে ছয় মাস মাঝেমধ্যে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন অথবা চার দিন খেতে পারেন।
- খেজুরঃ গর্ভকালীন অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে খেজুর খেতে পারেন খুরমা খেজুর এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও যুক্ত খাবার ভিটামিন রয়েছে এবং একে উচ্চকালেরই যুক্ত খাবার বলা হয়। গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়ের সারাদিনে প্রায় দেড় থেকে ২০০ পরিমাণ ক্যালরি ক্ষয় হয় তাই প্রতিদিন ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে থাকুন।
- কাজুবাদামঃ গর্ভকালীন কাজু বাদাম খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এবং মাংসপেশ শরীরের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।
FAQ/গর্ভাবস্থায় খাওয়া সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ মেয়ে সন্তান কত মাসে হয়?
উত্তরঃ সাধারণত মেয়ে সন্তান বা ছেলে সন্তান বলে কোন কোন মাছ বা টাইম
নির্ধারিত করা হয় না সাধারণত আমরা জানি একজন গর্ভবতী মা নয় মাস যাবত। গর্ভে
পালিত করে কন্যা সন্তান হোক বা ছেলে সন্তান হোক তবে সাধারণত ১ থেকে ডেট তিন মাসের
মধ্যে লিঙ্গের অবস্থান ঘটে এটা জানা যায়।
প্রশ্নঃ স্বপ্নের মাছ খেতে দেখলে কি গর্ভবতী হয়?
উত্তরঃ সাধারণত সবাই এ কথাটা বলে যে স্বপ্নে মাছ দেখলে গর্ভবতী হওয়া লক্ষণ
কিন্তু এটা আসলে কতটা বিশেষত্বভাবে সত্য আজব বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় এটা অনেক
আগে থেকে কুসংস্কার জড়িত মানা হয় যে গর্ভে বাচ্চা আসলে আগে স্বপ্নে মাছ দেখে।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে হতেও পারে
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় স্বপ্নে মাছ দেখলে কি হয়?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় স্বপ্নে মাছ দেখলে নাকি অন্যজনের গর্ভধারণ করা সম্ভবনা দেখা
যায় এটি আমরা এখনো বর্তমান যুগে এসেও অনেকেই এ কথা বলে কিন্তু। এ কথাটা বিশেষত্ব
ভাবে মানা যায় যে সত্য নয়
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কতদিন আগে উজ্জ্বল স্বপ্ন দেখা যায়?
উত্তরঃ গর্ভ অবস্থায় আপনি যেকোনো সময় যে কোন দিন যে কোন মুহূর্তে উজ্জ্বল
স্বপ্ন দেখতে পারে।
প্রশ্ন দুই মাসের বাচ্চা পেটে কেমন হয়?
উত্তরঃ দুই মাসের বাচ্চা গঠন অবস্থায় খুব বেশি হবে না হাত থেকে এক বৃদ্ধা সমান
বা কিছুটা দলা আকৃতি হতে পারে তবে আস্তে আস্তে কিছুটা গঠন আকৃতি নিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না
- অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গর্ব অবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না এতে কি পরিমান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সে সম্পর্কে থাকতে বিস্তারিত আলোচনা। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন এবং জেনে নিন কি কি মাছ খাওয়া যাবেনা গর্ভ অবস্থায়।
- হাঙ্গরঃ গর্ভাবস্থায় অনেকে বলে হাঙ্গর মাছ খাওয়া যায় এতে বিষক্রিয়া হতে পারে এর কারণে গর্ব অবস্থায় হাঙর মাছ খেতে বারণ করা হয়।
- ম্যাকরোল ঃ গর্ভকালীন এই মাছটি খাওয়া যাবে না এ মাছটি খেলে গর্ভ অবস্থায় গর্ভপাত ঘটাতে পারে তাই গর্ভবতী অবস্থায় এই কয়েকটি মাছ খেতে বারণ করা হয়।
- সডফিশঃ এইমাত্র খাওয়া যাবে না এ মাছটি খেলে গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চার ব্রেনের ক্ষতি হতে পারে বা শরীর ডেভলপমেন্টের ক্ষতি হতে পারে।
- আশা করি আপনারা ঠিক ভালোভাবে বুঝতে পেরে এই মাছগুলো না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো অন্যান্য মাছ খেতে পারেন যেমন শিং মাছ তেলাপিয়া মাছ ছোট মাছ বিভিন্ন রকম মাছ খেতে পারেন। এই তিনটি মাছ এড়িয়ে চলুন।
কি আমল করলে গর্ভের বাচ্চা বেশি সুন্দর ও বুদ্ধিমান হবে
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন এমন কোন আমল আছে যার মাধ্যমে গঠনে বাতাস
সুন্দর ও বুদ্ধিমান হবে প্রথমত আমরা বলব সুন্দর ও বুদ্ধিমত্তা ও বেশি ট্যালেন্টেড
বানানোর হাত রয়েছে মহান আল্লাহতালার। তবে আপনারা মাত্র উসিলা হিসেবে কোন কাজ
করতে পারেন যেমন খাবারের নিয়ম যে খাবারগুলো আমরা উপরে উল্লেখ করেছি আশা করি সেই
খাবার গুলো খাবেন।
তাছাড়াও আরো কিছু আপনি আমল করতে পারেন যেমন নামাজ পড়তে পারেন পাশাপাশি প্রতিদিন
নামাজ পড়ার পর সূরা ইয়াসিন, এখলাস, ও দূরুদ শরীফ তিনবার তিনবার করে মোট
নয়বার সন্ধ্যার সময় করে উঠতে পারেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে মহান আল্লাহ
তায়ালার কাছে মোনাজাতে আপনি আপনার সন্তানের জন্য।
ভাল বুদ্ধিমত্তা ও সুন্দর ও নেক হায়া ত অনেক বুদ্ধি যেন আল্লাহতালা তাকে
দান করেন এর জন্য আপনি আল্লাহতালার কাছে চেয়ে নিতে পারেন। তবে খাবারের ক্ষেত্রে
যে খাবারগুলো আমরা উল্লেখ করেছি আশা করি আপনি সেই খাবারগুলো খেলে আপনার
বাচ্চার গ্রোথ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ভালোভাবে ঘটবে।
শেষ কথাঃগর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা
করেছি কি খেলে গর্ভ অবস্থায় বাচ্চা, বুদ্ধিমান হয় বা মেধাবী হয় সে সম্পর্কে
বিস্তারিত আমরা আপনাদেরকে জানাতে চেষ্টা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে
আপনারা উপকৃত হবেন
এবং যে খাবারের তালিকা বা খাবারের নিয়ম অনুযায়ী আমরা আপনাদেরকে সম্পূর্ণ
বিস্তারিত আলোচনা করে জানিয়ে যেমন কোন খাবারটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কোন খাবার
প্রয়োজন উপকার কোন ফলটি খাওয়া যাবে কোন ফলটি খাওয়া যাবে না।
সেই নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেলে আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন এবং দৃষ্টিতে দেখবেন
নিত্য নতুন আর্টিকেল পেটে আমাদের সাথে থাকুন ফরিদা আইটি ওয়েবসাইটটির
পাশেই থাকুন আবারো কোন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা
হবে ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url