আমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানুন

আমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আমলকি হরিতকি বহেড়া কিভাবে খাবেন কিভাবে খেলে কতটুকু উপকার পাবেন। এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া                                     

আমলকি-হরিতকি-বহেড়া-খাওয়ার-নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে। এর খাওয়ার নিয়ম এবং কোন সময় খেলে কতটুকু উপকার এবং কতটুকু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে সম্পর্কে থাকতে বিস্তারিত আলোচনা। তাই চলুন পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি এবং জেনে নিই খাবার নিয়ম।

সূচিপত্রঃআমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম

আমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম

আমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম আমলকি হরিতকি বয়রা এই তিনটি ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী ও অনেক ঔষধি গুণাগুণের কাজে লাগে। এটাই নিয়ম করে মাঝেমধ্যে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দৃষ্টি শক্তি উন্নতি করে হার মজবুত করে। ক্যালসিয়ামের কাজ করে। ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ থেকে হাতের রক্ষা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ আমলকি হরিতকি বহেড়া এই তিন ফলকে ত্রিফলা বলা হয় আর এই তিন ফল মিলে একটি ঔষধি গুনাগুনের কাজ করে থাকে। এই তিন ফলকে যদি এক থেকে দুই দিন পর পর বা মাঝেমধ্যে নিয়ম করে খাওয়া যায় তাহলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের। ফ্যাট জনিত সমস্যা দূর করে শরীরের চর্বি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

আপনি এটিকে বিভিন্নভাবে খেতে পারেন যেমন আমলকি কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা শুকনো অবস্থায় তিন ফলকে একসাথে ভালোভাবে শুকিয়ে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে। ব্লেন্ড করে পাউডার করে এক গ্লাস গরম জলের সাথে খালি পেটে সকালে। খেতে পারে এটা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে এবং পেটের চর্বি কমাবে এবং মেদ ভুড়ি কমাবে।

দৃষ্টি শক্তি উন্নত করেঃ এক কথায় যাদের অনেক সময় দেখা যায় অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দেয় কোন কারণ ছাড়াই। এতে আপনি ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আমলকি হরিতকি বহেড়া খেতে পারেন অথবা সাথে কোন ভিটামিনযুক্ত ওষুধ খেতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি আপনি আমলকি হরিতকি এর পাউডার অথবা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি ব বাড়বে।

হাড় মজবুত করেঃ যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় একপ্রকার জাদুকরী হিসেবে কাজ করে থাকে এই তিন ফল মানে ত্রিফলা আমলকি হরিতকি বহেড়া। মাঝে মধ্যে কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারে অথবা পাউডার করে প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে খালি পেটে অথবা ঘুমানোর পূর্বে রাতে। এই তিন ফলের পাউডার আপনি মিশ্রণ করে খেতে পারেন এক গ্লাস গরম জলের সাথে এতে আপনার হাড় মজবুত করবেন হাড়ের ক্ষয় দূর করবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ অনেক ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে এই তিন ফলের অনেক গুণাগুণ ঔষধি ভেসজ ঔষধ হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সারের ঝুকি কমায় বলে জানা যায়।

আমলকি হরিতকি বহেরা উপকারিতা

আমলকি হরিতকি বহেরা উপকারিতা আমলকি হরিতকি বহেড়া এর নানা রকম উপকারিতা রয়েছে যেমন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে আইরনের ঘাটতি দূর করে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে তা ভালো করে তার চলুন আমরা বিস্তারিত জেনে নেই কিভাবে খেলে আপনারা এই অসুবিধাগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ । যাদের অল্প বয়সে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় আমলকি হরিতকি বয়রা এই তিন ফলকে একত্র করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপরে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিষ্কার করে একটি পাত্রে চেলে নিন। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে একবার করে হলেও গরম পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে খাবারের পূর্বে খেতে পারেন।

এতে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সম্পূর্ণভাবে ঠিক করবে তবে অবশ্যই এটি সময় ব্যয়বহুলের মধ্যে হবে। তবে এ খাবার সময় অবশ্যই কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে টক জাতীয় খাবার এবং আঁশ জাতীয় খাবার যেমন হাঁসের মাংস হাঁসের ডিম পাঙ্গাস মাছ এসব খাবার থেকে বিরত থাকা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বুদ্ধিমানের কাজ।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করেঃ যাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে এবং কোনভাবে ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না পাশাপাশি হারে বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যথা অনুভব করছেন। বা হাড়ের বাত ব্যথার সমস্যা হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে বলবো। প্রতিদিন একটি করে আমলকি কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারেন। এবং ঘড়ি তোকে বহেড়া এর সাথে  গুড়া অবস্থায় পাউডার করে খেতে পারেন এদের দ্রুত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে এবং বাদ ব্যথা দূর করবে।
                আরো  পড়ুন     শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

হজম শক্তি বৃদ্ধি করবেঃ যাদের কোন কিছু খাবার খেলে দ্রুত হজম হয়না পেটে গ্যাস থেকে প্রবলেম হয়ে পেট ফেটে যায় পেট ফুলে যায়। এবং খাবার রুচি হারিয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে বলব আমলকি হরিতকি এই তিন ফলকে একত্র করে। ভালোভাবে শুকিয়ে ব্লেন্ড করে প্রতিদিন সকালে অথবা ঘুমানোর পূর্বে রাতে এক গ্লাস গরম জলের সাথে প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫ দিন টানা খেতে পারেন খালি পেটে এতে দ্রুত হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে।

ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়

আমলকি হরিতকি বহেরা উপকারিতা  ত্রিফলা  প্রতিদিন খাওয়া যায় এ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন চলুন তাহলে জেনে নিন। প্রতিদিন ত্রিফলা গ্রহণ করা যায় তবে অবশ্যই কিছু এর সতর্কতা অবলম্বন করে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। ত্রিফলা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সাইডেন বা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

হার মজবুত করে ক্যালসিয়ামের সমস্যা দূর করে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে পেটের ফোলা পেট ফাঁপা পেটের বদহজম দূর করে। তবে অবশ্যই কিছু খাওয়ার নিয়ম রয়েছে সেগুলো ফলো করে খাওয়া শরীরের জন্য উপকার যেমন। প্রথম অবস্থায় কিছু অল্প পরিমাণে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন আপনি কাঁচা অবস্থায় একটি থেকে দুইটি আমলকি প্রতিদিন খেতে পারবেন।

এবং এটি যদি পাউডার অথবা ওষুধের বড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই নিয়ম করে খেতে হবে যেমন পাউডার খেলে এক থেকে দেড় চামচ এর বেশি প্রথমে খাওয়া যাবে না। যখন প্রতিদিন খেতে থাকবেন তখন এর আস্তে আস্তে ডোজ বাড়াতে পারবেন। এবং যদি ওষুধের মত বরি হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে। সকালে একটি এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে একটি খেতে পারবেন।

তবে অবশ্যই এটি খালি পেটে খাওয়া সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যায় যেমন শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে তোলে তাই অবশ্যই এর খাওয়ার নিয়ম করে খেতে হবে।

FAQ/আমলকি খাওয়ার সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায়?
উত্তরঃ ত্রিফলা কতদিন খেতে পারবেন ঠিক সেটা আপনার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে আপনি যে সমস্যার জন্য খেতে চাচ্ছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় যাবত খেতে হবে এটি দীর্ঘ সময় খাওয়ার জন্য নিরাপদ। যদি আপনার পেট ফাঁপা পেট ফোলা বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই এটি দীর্ঘ সময় যাবত ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনার সাথে অন্য কোন প্রবলেম থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে খেতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ত্রিফলা খেলে কি গ্যাস কমে?
উত্তরঃ অনেক ক্ষেত্রে ই দেখা গেছে ত্রিফলা খেলে গ্যাস রোদ করে কারণ এটি খাবার হজমের সমস্যা দ্রুত নিরাময় করে এবং পেট ফোলা পেট ফাঁপা দূর করে পাশাপাশি গ্যাস্টিক সমস্যা দূর করে।

প্রশ্নঃ সকালে খালি পেটে ত্রিফলা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ সকালের খালি পেটে ত্রিফলা আপনি খেতে পারবেন এতে অনেক বেশি উপকার ওজন কমাতে সাহায্য করবে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। গ্যাস্টিকের প্রবলেম থাকলে তা দূর করবে পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে

প্রশ্নঃ ত্রিফলা খেলে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে?
উত্তরঃ 100% সিওর ত্রিফলা আপনি যদি নিয়ম করে খেতে পারেন আমলকি হরিত কি বহেরা তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে শরীরের রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।

প্রশ্নঃ ত্রিফলার কিভাবে ব্যবহার করবেন?
উত্তরঃ সাধারণত ত্রিফলা পাউডার হিসেবে খাওয়া যায় আমলকি কাচা চিবিয়ে খাওয়া যায় আবার এই তিন ফলকে একসঙ্গে মিশ্রণ করে ওষুধের মতো করে পাউডার অথবা বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। খাওয়ার নিয়ম সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর পূর্বে খালি পেটে খেয়ে খাবার খেতে পারবে।

ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম

ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন চলুন তাহলে জেনে নেই আমলকি হরিতকি বহেড়া এর চূর্ণ। কেমন করে কিভাবে খেতে পারবেন আপনি কিভাবে খেলে কতটুকু উপকার পেতে পারেন সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নেই।

খাওয়ার নিয়মঃ সাধারণত ত্রিফলার চূর্ণ খালি পেটে খাওয়া শরীরের জন্য উপকার প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস গরম জলের সাথে একটা চামচ ত্রিফলার জন্য ভালোভাবে মিশ্রণ করে এবং খালি পেটে এটি প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে পারেন। হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

অথবা ত্রিফলার চূর্ণ কে ভালোভাবে মিশ্রণ করে তিন ফলকে একটি ব্লেন্ডারে সাহায্য করে পাউডার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন পাউডারকে আপনি গরম জলের সাথে হালকা করে মিশিয়ে ছোট ছোট বরি আকারে। ভালোভাবে শুকিয়ে নিন এবং প্রতিদিন একটি করে বরি। এবং ঘুমানোর পূর্বে একটি করে বরি খেতে পারেন। তবে অবশ্যই এটি খেয়াল রাখতে হবে খালি পেটে এবং গরম জলের সাথে তবে খুব বেশি গরম জল নয় হালকা বেশ হলেই খাওয়া যাবে।

প্রতিদিন কয়টি আমলকি হরিতকে বহেড়া খেতে পারবেন

আমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি হরিতকি বয়রা খেতে পারবেন সে সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেক ভাই ও বন্ধুরা জানতে চেয়েছেন। চলুন তাহলে আপনাদেরকে সেই নিয়ম অনুযায়ী জানিয়ে দিয়ে কিভাবে আপনার প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি হরিত খেতে পারবেন।

খাওয়ার নিয়মঃ আমলকি হরিতকি ও বহেড়া কমপক্ষে আপনি প্রতিদিন ১ থেকে দুইটি করে আমলকি খেতে পারবেন প্রতিদিন এবং ঘড়ি তো কি বয়রা একটি থেকে দুটি খেতে পারবেন তবে এর বেশি খেলে শরীরের জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। অবশ্যই এটি ছয় সাত গ্রামের বেশি খেলে শরীরের জন্য খারাপ প্রভাব পড়তে পারে তাই এটি নিয়ম করে পরিমাণ মতো খেতে পারবে।
               আরো  পড়ুন     শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে

এটি অতিরিক্ত খেলে কিডনি পাকস্থলী বা পেটে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং অতিরিক্ত এসিডিটির প্রবলেম হলে পেটের  খারাপ ডায়রিয়া হতে পারে। তবে আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে দুইটি করে কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেতে পারবেন।

এবং পাউডার হিসেবে খেলে এক থেকে দেড় চামচ পাউডার আপনি প্রতিদিন খেতে পারবেন এবং যদি আপনি বরি হিসেবে এটি খেতে চান। তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন সকালে একটি এবং ঘুমানোর পূর্বে একটি এর বেশি নয়। তাছাড়া আপনার অন্যান্য শারীরিক কোন প্রবলেম থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি খেতে পারবেন।

ত্রিফলার জলের উপকারিতা

ত্রিফলার জলের িতা সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন তাই চলুন ত্রিফলার জলের উপকারিতা কি কি। এবং কিভাবে খাবেন ত্রিফলার জল সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নেই এবং কি কি উপকারিতা পাবেন।

খাওয়ার নিয়মঃ আমলকি হরিতকি বহেড়া এই তিন ফলকে একসঙ্গে ভালোভাবে শুকিয়ে একটি পাত্রে পানির সাথে ভিজিয়ে রাখতে পারেন সারারাত। এরপর সকালে উঠে খালি পেটে এটি খেতে পারেন এটি খেলে আপনার পেটের বদহজম পেটের পাকস্থলী খাবার হজমের সমস্যা। গ্যাস্টিকের প্রবলেম দূর হবে।

পাউডারের জল খাওয়ার নিয়মঃ প্রতিদিন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং ঘুমানোর পূর্বে খালি পেটে পাউডার এক গ্লাস গরম জলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং মিশ্রণটির খাবার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে। খালি পেটে খেতে হবে এটি খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে শরীরের রক্তে শর্করা মাত্র রকম হবে।

ভিটামিন সি এর উৎসঃ আমলকি হরিতকি বহেড়া এই তিনটি ফল ভিটামিন সি এর উৎস আর ভিটামিন সি শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। ভিটামিন সি এর অভাবে স্কাভি রোগ হয় তা থেকে মুক্ত করে এটি লিভারের সমস্যা দূর করে লিভারের থেকে ময়লা এবং পেটের প্রদাহ দূর করে। তবে অবশ্যই এটি নিয়ম করে খালি পেটে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে আপনি ঘুমানোর পূর্বে খালি পেটে খেলে এই উপকারগুলো পেতে পারেন।

FAQ/আমলকি খাওয়ার সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ ত্রিফলা কি কি উপকারিতা রয়েছে?
উত্তরঃ আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি ফল এটি ভিটামিন সি এর উৎস এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি রক্তের শর্করা মাত্রা কমে তুলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে লিভারের সমস্যা দূর করে।

প্রশ্নঃ ত্রিফলা খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ ত্রিফলা খেলে কি ওজন কমে এ সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন ত্রিফলা যদি আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে এক গ্লাস জলের সাথে গরম জলের সাথে এক চা চামচ করে ত্রিফলার পাউডার এবং ত্রিফলার বড়ি। খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন কমবে।

প্রশ্নঃ ত্রিফলা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকারক?
উত্তরঃ এটি ব্যবহার করে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জেনেও জানা গেছে কিডনি বিশেষজ্ঞের মধ্যে আমলকি হরিতকি এবং বয়রা এতিম ফল ব্যবহারে কিডনি রোগের উপক্রম কমেছে এর প্রতি হয় সেই সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।

প্রশ্নঃ ত্রিফল কখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ত্রিফলা সাধারণত খালি পেটে সকালে এবং ঘুমানোর পূর্বে রাতে খালি পেটে খাওয়া উচিত এতে শরীরের জন্য অনেক উপকার।

প্রশ্নঃ হরিতকী খাওয়ার নিয়ম কি?
উত্তরঃ হরিতকি খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন আপনি এটি আদা মধু অথবা চিনি অন্যান্য মৌসুমী ফলের সাথে খেতে পারবে তবে একটি বেশি করে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

চুলের যত্নে আমলকি কি হরিতকির ব্যবহার

 চুলের যত্ন আমল বিপরীতে কি ব্যবহার করতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে কাজ করে যাদের মাথায় চুল গজাচ্ছে না বা কপালে চুল ঝরে যাচ্ছে কোনভাবে সেই ঝরে যাওয়া চুল না গজানো বা। চুল পড়ে যাওয়া চুলের আগা ফাটা চুলের সপ্ত নষ্ট হয়ে যাওয়া এরকম কিছু হলে অবশ্যই আপনি। আমলকি হরিতকি ফলের ব্যবহার করতে পারেন এতে চুলের গোড়া শক্ত করবে চুল পড়ে যাওয়া কমাবে।

ব্যবহারবিধিঃ ের এটি নিয়ম করে ব্যবহার করলে চুলের বড়া পড়বে শক্ত এবং চুল পড়বে মজবুত ব্যবহারের নিয়ম আমলকি হরিতকি বহেড়া তিন ফল ফলকে একসাথে ভালোভাবে। ভালোভাবে শুকিয়ে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিয়ে শুকিয়ে। একটি কৌটাতে সংরক্ষণ করতে পারেন।

এবং সপ্তাহে তিন দিন অথবা চারদিন ব্যবহার করতে পারেন একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি এবং পরিমাণ মতো 1 থেকে 2 চা চামচ অথবা তিন চামচ মত। ত্রিফলার গুড়া ভালোভাবে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালোভাবে। এপ্লাই করুন এবং এক থেকে দুই ঘন্টা শুকানোর পর নরমাল শ্যাম্পু দিয়ে।

ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন এরপরে আমলকি তেল গোড়া গোড়ায় এপ্লাই করুন প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে এতে দ্রুত চুল পড়া কমাবে এবং ফুলের গোড়া শক্ত করবে মজবুত ও ঝলমলে। যেমনটি আপনি চান।

শেষ কথাঃআমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম

আমলকি হরিতকি বহেড়া খাওয়ার নিয়ম আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আমলকি হরিতকি বোনেরা কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে খাবেন এবং কোন সময় খাবেন সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এবং কোন সময় খেলে শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে সম্পর্কেও তুলে ধরেছি।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন এবং অন্যদের পড়া সুযোগ করে দিবেন। এবং আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। নিত্যনতুন আর্টিকেলপেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

আশা করি আজকের আর্টিকেলের নিয়ম অনুযায়ী আপনারা আমলকি হরিতকি বয়রা এই তিন ফল ব্যবহার করবেন এবং শারীরিক কোন প্রবলেম বা অন্যরকম সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিবেন। আবার কোন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আসব আপনাদের সামনে ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url